সাতক্ষীরায় শিশুদের নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব
দিনে গরম রাতে ঠান্ডা। শীত আসছে ধীরে ধীরে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুদের নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সাতক্ষীরায়।
রোগীতে পরিপূর্ণ জেলার বেশিরভাগ হাসপাতাল। সেবা দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের। শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী। যেখানে বর্তমানে ৮০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ১৩০ জন।
আর বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫ শতাধিক রোগী। শয্যা খালি না থাকায় অনেক রোগীকে জায়গা নিতে হয়েছে মেঝেতে। বাধ্য হয়ে অনেকে বাড়তি খরচ সত্ত্বেও যাচ্ছেন বেসরকারি ক্লিনিকে।
রোগীদের স্বজনদের একজন বলেন, ‘সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। কেবিন ও ওয়ার্ড ছাড়া বাহিরে ফ্লোরে থাকতে হচ্ছে।’
একই অবস্থা শিশু হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালের। শয্যার তুলনায় অতিরিক্ত রোগী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
সেবা নিতে আসা রহিমা খাতুন বলেন, আমি ৬ দিন ধরে আমার বাচ্চাকে নিয়ে আছি। বেড নেই বলে কষ্ট করে হলেও নিচে সেবা নিচ্ছি। বাচ্চা অনেকটা ভালো এখন। আল্লাহ রহমতে সম্পূর্ণ সুস্থ হলে বাড়ি যাবো।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডাঃ রিয়াদ হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ দেখা যায়। এসময় শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্নের পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে তাহলে এসব রোগ দেখা দিবে না। ‘ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে, বিশেষ করে শিশুদের।’
বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা ১৪ কিন্তু রোগী ৫ গুণ ও শিশু হাসপাতালে ৪৪ জন রোগী ভর্তি আছেন। অথচ এক মাস আগেও এ ধরনের রোগীর সংখ্যা ছিল অর্ধেকেরও কম।