চুয়াডাঙ্গায় ভেজাল শিশুখাদ্য বিক্রি, ব্যবসায়ীকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় ভেজাল শিশুখাদ্য বিক্রি, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ-মূল্যবিহীন পণ্য ও শিশুখাদ্য বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় এসব ভেজাল শিশুখাদ্য ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ মূল্যবিহীন পণ্য ভর্তি ৬টি গোডাউন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।

বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

অভিযান সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের মেসার্স জনি স্টোরের মালিক হামিদুর রহমান জনিকে কয়েক বছর আগে বিভিন্ন অনিয়মের অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এরপরেও সংশোধন না হয়ে তার নকল ভেজাল শিশুখাদ্যের ব্যবসা আরও অধিকতরভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পার্শ্ববর্তী জেলা মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও সকল উপজেলাগুলোতে তিনি এই নকল ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ শিশুখাদ্য ডিলার হিসেবে সাপ্লাই দেন। বুধবার অভিযানে গেলে এসবের প্রমাণ পায় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। এসময় প্রতিষ্ঠানটির মালিক হামিদুর রহমান জনিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৪১, ৫১, ৫৫ ধারায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় অননুমোদিত নিম্নমানের নকল ভেজাল শিশুখাদ্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ মূল্যবিহীন পণ্যে ভর্তি ৬টি গোডাউন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এই শিশুখাদ্যগুলো দোকান মালিক সমিতি, চেম্বার অব কমার্স, সাংবাদিক, ছাত্র প্রতিনিধি ও সচেতন ভোক্তাদের উপস্থিতিতে টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, এসসব বিষয়ে বাজারের অন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। এবং সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় বিক্রয়, ভাউচার সংরক্ষণ ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। চলমান এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামানসহ ক্যাব প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, নিরাপদ খাদ্য প্রতিনিধি ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বিক সহযোগিতা করেন জুলফিকারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম।