বাজারে উঠেছে শীতের সবজি, চড়া দামে ক্রেতাদের অস্বস্তি
সাতক্ষীরায় বেশিরভাগই কাঁচাবাজারের সবজির দাম সেঞ্চুরি ঘর ছুঁই ছুঁই অবস্থা। প্রায় সব সবজির দামই ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকার ঘরে আটকে আছে। শীতকালীন সবজি বাজারে আসলেও বাজার এখন গরম। বাজার গরম করছে বেগুন, করলা, শিম, বরবটি ও কাঁকরোল, টমেটো, ফুলকপি। গত বছরের তুলনায় এবছর শীতকালীন শাক-সবজির বাজার দাম দ্বিগুণ বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজার গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। বাজারে সব শাকসবজির দাম আকাশ সমান।
বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, কচুর মুখি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ছোট সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ১২০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৯০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজারে বাজার করতে আসা শুভ মন্ডল বলেন, 'সবজির দাম যেন গরম। পাশে গেলে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। কেনার সাধ্য নেই। মেসে থাকি লেখাপড়ার তাগিদে বাড়ি থেকে মেপে টাকা পাঠান। এতো দাম যে খাবো নাকি লেখাপড়া করবো ভেবে পাচ্ছি না। আগে যে টাকায় সব কিছু হয়ে যেত এখন আর সেই টাকা দিয়ে খাওয়াটাই হচ্ছে না। তাহলে কেমনে থাকবো। সব জায়গায় ভোগান্তি তবুও বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ কখনোই দেখলাম না।'
এদিকে সবজির দামের বিষয়ে সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজারের সবজি বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'গেল কয়েক বছরের তুলনায় এবছর সবজির দামটা অনেক বেশি। কারণ এবছর উৎপাদন কম হওয়ার কারণে আমরা শীতকালীন শাকসবজি বাজারে পাচ্ছি না। যা পাচ্ছি বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে যার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারের সাত-আট ধরনের সবজির দাম সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই হবে। বাকি সব সবজি ৬০ থেকে ৭০ টাকার ঘরে।'
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, বাজারে সবজির দাম ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। এই সময় বেশিরভাগ নতুন সবজি বাজারে আসে। কিন্তু বাজারের দাম চড়া। তবে আমি মনে করি বাজার যদি ঠিক মতো মনিটরিং করা হয় তবে বাজার দামটা অনেকটাই কমবে। তবে শীত চলে আসলে, নতুন সব সবজি বাজারে উঠবে তখন সবজির দাম অনেক কমে যাবে। এখন বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম, সে কারণেই বাজার কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।