গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন যাবত ভূমি আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন।
বুধবার (২১ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে মামলার বিষয়টি মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম। গেল ১৯ নভেম্বর দুপুরে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বাদি হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের মিঠু মিয়া (৩৫), তাহের হোসেন (২৪), আইযুব আলী (২২), নাইস হুজুর (৪৫), জাহাঙ্গীর (৪০), লিটন (৩৫), শিপন মিয়া (৩০), মো: খোকন বাবু (৩৬), মহিদুল (৩০) শহিদুল (৩৫), শামীম (৩৩), শফি (৩০), রঞ্জু (৩২), সোহেল (৩৩), আয়তাল (৩৮), মোস্তফা (৪৪), দুদু মিয়া (৩৬), সাদ্দাম (২৫), বিপুল (২৭), সুমন (২৫), আলম (২৪), এনামুল (৩০), মতলেব সরদার (৪০), শাহ আলম সরদার (৩৭), আমিরুল ইসলাম (৩৫), সামাদ শেখ (৪৫), রেজাউল (৪৫), নূরুল আমিন (৪৫), সেলিম মিয়া (২৫)।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ১৯ জনের বিরুদ্ধে ভূমি আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে, এসময় বালু উত্তোলনের অভিযোগের অন্য একটি মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
উল্লেখ্য, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরেই আইন অমান্য করে করতোয়া নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে আসছিলেলেন। ফলে নদী পাড়ের বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও সরকারি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে এবং আরো বেশ কিছু স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। সম্প্রতি স্থানীয়দের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গেল ১৯ নভেম্বর রাতে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জমান চকরহিমাপুর ও নরেঙ্গাবাদের মেরী এলাকা সরেজমিনে বালুু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। পরে একইদিন উপজেলার সাপমারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো: আবুল হোসেন বাদি হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে ভূমি আইনে এই মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নামে গোাবিন্দগঞ্জ থানায় আরও মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।