৬ বছরে ৫ হাজার কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

৬ বছরে ৫ হাজার কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি

৬ বছরে ৫ হাজার কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি

আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ৫০০ প্রকৌশলীর নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান উল্কাসেমি । পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীদের কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

নতুন লোগো উন্মোচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ ডিজাইন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উল্কাসেমির চেয়ারম্যান আরিফা চৌধুরী রহমান এবং চিফ অপারেটিং অফিসার মিজানুর রহমান, পি.এইচ.ডি।

বিজ্ঞাপন

বিগত ১৭ বছরের যাত্রার এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে উল্কাসেমি। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন লোগো উন্মোচন এবং আগামী পরিকল্পনা সামনে আনে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন প্রজন্মের প্রকৌশলীদের জন্য উন্নতমানের ক্যারিয়ার তৈরি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে কাজ করছে উল্কাসেমি।

বিশ্বব্যাপী ক্রমাগত বাড়ছে সেমিকন্ডাক্টরের বাজার। ২০২১ সালে সারাবিশ্বে সেমিকন্ডাক্টর বাজার ছিল ৪৫২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০২৮ সালের মধ্যে ৮০৩.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে ২০৩০ সালের মধ্যে একটি মাল্টি বিলিয়ন ডলারের বাজারে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা করেছে উল্কাসেমি।

বিজ্ঞাপন

উল্কাসেমির সিইও ও প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নতুন উদ্যোগগুলো দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি এই সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের নতুন নতুন উদ্ভাবনেও সহায়ক হবে।  বাংলাদেশকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরই প্রেক্ষিতে আমাদের নতুন লোগো আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশের প্রতিভার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের মেধায় বিশ্বাসের প্রতিফলন। একসঙ্গে, আমরা এমন একটি ভবিষ্যত তৈরিতে কাজ করছি যা বাংলাদেশকে বৈশ্বিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে মূল ভূমিকায় পৌঁছে দেবে।’

তিনি আরো বলেন, সঠিক সরকারি এবং বেসরকারি খাতের সমর্থন পেলে দেশের সেমিকন্ডাক্টর খাত ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দেশে আরো ১ মিলিয়ন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশে শিক্ষা, অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে টেকসই সেমিকন্ডাক্টর শিল্প গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি আমরা।’