মাদরাসার শিক্ষার্থীকে ‘যৌন নিপীড়ন’র দায়ে বাবুর্চির যাবজ্জীবন, দুই শিক্ষককে খালাস
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের একটি মাদরাসার হেফজ বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় মাদরাসার বাবুর্চিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত মাদরাসার দুই শিক্ষককেও খালাস প্রদান করেছেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুলান-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন।
দণ্ডিত মোস্তাফিজুর রহমান বাবু (২৬) ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার বাঘেরকান্দা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই মাদরাসায় বাবুর্চির কাজ করতেন।
মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে নগরীর পাঁচলাইশ থানার মাদরাসাতুল মদিনা মাদরাসায় হেফজ বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করেন বাবু। তিনি ওই মাদরাসায় বাবুর্চির কাজ করতেন। এ ঘটনায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর বাবা আসামি বাবুর বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় ওই মাদরাসার দুই শিক্ষককেও অভিযুক্ত করেন ভিকটিম শিক্ষার্থীর বাবা।
পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মাদরাসার দুই শিক্ষককে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, দুই মাদরাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয়মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি বাবু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মাদরাসার দুই শিক্ষককে খালাস দিয়েছেন আদালত।