ফেনীতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তি ফেরেনি

  • মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তি ফেরেনি, ছবি: বার্তা২৪

ফেনীতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তি ফেরেনি, ছবি: বার্তা২৪

শীতের আগমনে বাজারে সরবরাহ বাড়ছে সব শাক-সবজির। এতে কমতে শুরু করেছে দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২০ থেকে ৫০ শতাংশ কমেছে প্রতিটি সবজির দাম। আঁটিপ্রতি অর্ধেকে নেমেছে বিভিন্ন শাকের দাম। ক্রেতাদের মনে স্বস্তি ফেরার কথা হলেও খুচরা বাজারের নানা কারসাজিতে অস্বস্তিতে রয়েছে ক্রেতারা।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) শহরের বড় বাজার, পৌর হকার্স মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিমের মতো মৌসুমি সবজির সরবরাহ বেড়েছে। শীতকালীন আগাম সবজি বাজারে আসায় গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে দাম।

বিজ্ঞাপন

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৯৫ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা, মানভেদে নতুন আলু ১২০-১৩০ টাকা কেজি, রসুন ২৭০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শীতের সবজির মধ্যে প্রতি কেজি বেগুন মানভেদে ৭০ টাকা কেজি, করলা ৬০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা কেজি, শিম ১০০ টাকা কেজি, পটল ৫০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজি, শসা ৫০ টাকা কেজি, প্রতি পিস ফুলকপি মানভেদে ৮০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা ও কুমড়া ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পুঁই শাক ২০ থেকে ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৬৫ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০-২৯০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

খুচরা বিক্রেতা শিমুল জানান, বাজারে এখন গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কম আছে। শীতের সবজি তো মাত্র আসতে শুরু করেছে। সপ্তাহখানেক যেতে দেন। এরপর দাম আরও কমে যাবে। এবার বন্যায় প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এজন্য দাম কিছুটা বেশি। এখন আবার আরেক দফায় চাষ হচ্ছে। সেগুলো বাজারে এলেই দাম কমতে শুরু করবে।


বড় বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, শীতকালীন আগাম সবজি বাজারে এসেছে কয়েকদিন হলো। এরমধ্যে বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক কমেছে, দিনযত যাবে দাম আরও কমে যাবে।

ব্যবসায়ীরা দাম কমার কথা বললেও দাম নিয়ে অস্বস্তিতে ক্রেতারা।

আলমগীর হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, শীতকালীন সবজি হলেও এখনও বাজারে দাম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাইকারি বাজারে দাম কম হলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দামে। এ সিন্ডিকেট কেউ বন্ধ করতে পারেনি। যার কারণে দাম কমলেও সাধারণ মানুষ তার সুবিধা পায় না।

বাজারে আলুর দাম নিয়ে অস্বস্তিতে ক্রেতারা। পুরাতন আলু ৭০ টাকার অধিক এবং নতুন আলু কিনতে ১৩০ টাকার অধিক গুণতে হচ্ছে। আলুর দাম নিয়ে আরেক ক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অন্যান্য বছর এ সময়ে আলু ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে থাকত। এ বছর সে তুলনায় দাম বেশি।

বাজার করতে আসা গৃহিণী রুমা আক্তার বলেন, মানে বাজারে একটা না একটা দরকারি জিনিসের দাম বাড়তি থাকবেই। হয় ডিমের দাম, না হয় কাঁচামরিচ, না হয় আলু। এভাবেই চলছে। আমরা কাটছাঁট করে কোনোরকম টিকে আছি।

ফেনী পৌর তরকারি আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাফর বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি আগাম শীতকালীন সবজিতে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ কমেছে। মূলা গত সপ্তাহে পাইকারিতে ৫০ টাকা বিক্রি করেছি এখন সেটি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ সবজির দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পুরোদমে শীতকালীন সবজি বাজারে আসেনি, এগুলো আগাম সবজি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাম আরও কমে যাবে।