ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের ফুটপাতের পাশ থেকে একদিন বয়সী এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওই নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন। শাহবাগ থানার এসআই মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সামনের ফুটপাত থেকে কালো কাপড়ে পেঁচানো অবস্থায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করি। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কে বা কারা ওই নবজাতককে ফুটপাতে ফেলে গেছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনাটি জানার চেষ্টা করছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, আশেপাশের কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেও কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ ও পানিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে টাঙ্গাইলের বাসাইলে কৃষি জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় দুই হাজার একর জমিতে সরিষা চাষ ব্যাহত হয়েছে। শঙ্কায় রয়েছে আগামী বোরো মৌসুমের আবাদও। প্রায় দুই হাজার একর জমিতে আড়াই হাজার মেট্রিক টন ধান ও ৭৮০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়।
জানা গেছে, অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ করার ফলে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাকালে যে পানি ঢুকেছে সেই পানি বের না হওয়ার কারণে ও কালভার্ট না থাকায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। প্রায় দুই হাজার একর জমিতে ধানের বীজতলা ও সরিষা আবাদ করতে পারেনি চাষিরা। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে যদি পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে বোরো আবাদেরও শঙ্কা রয়েছে।
বাসাইল উপজেলা সদরের এসআর পাড়া, আন্দিরা পাড়া, পাল পাড়া, মাঝি পাড়া ও বালিনাসহ বেশ কিছু এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে এবার সরিষার আবাদ করতে পারেনি কৃষকরা। ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারেনি। সামনে বোরো আবাদেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কৃষকদের দাবি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
কৃষক ফজল মিয়া বলেন, অপরিকল্পিতভাবে চারিদিকে রাস্তা কইরা ব্রিজ কালভার্ট বন্ধ করে দিয়ে এই এলাকার হাজার একর জমি রবি শস্য থেকে বঞ্চিত। বীজতলা কেউ ফেলতে পারছেন না। বীজতলার মধ্যে কোমড় পানি। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখে নাই। যেগুলো ছিল সেগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য সুব্যবস্থা করেন।
কৃষক সুখী চন্দ্র রাজবংশী বলেন, আমরা সরিষা আবাদ করতে পারি নাই। তিন ফসলি জমি সবসময় উৎপাদন করে থাকি। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করলে বোরো আবাদ নিয়েও শস্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাহরুখ খান বলেন, বাসাইল পৌরসভা একটি খ শ্রেনির পৌরসভা। এই পৌরসভার রাজস্ব আয় অন্য যেকোনো পৌরসভার তুলনায় কম। যা দিয়ে শুধু কর্মচারীদের আয়সহ আনুসাঙ্গিক ব্যয় মেটানো হয়।মূল প্রকল্প গুলো মূলত নেওয়া হয়ে থাকে সরকারের উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্প যেমন এডিপি। আমি ইতিমধ্যে জলাবদ্ধতা সম্পর্কে অবহিত। এলাকাবাসী আমার কাছে এসেছিলেন তারা লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। জলাবদ্ধতা বাসাইলের দীর্ঘ দিনের সমস্যা। রাস্তাসহ অন্যান্য অবকাঠামো হওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা সমস্যা প্রকট হচ্ছে। কৃষিসহ অন্যান্য কাজে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আমার পৌরসভার প্রকৌশলী সরেজমিনে গিয়েছেন, জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন। অস্থায়ী কোনো কিছু করলে রাস্তাটির ক্ষতি হতে পারে। একারণে আমরা বর্তমান অর্থবছরে এডিপির যে প্রকল্প এখান থেকে স্থায়ী কোনো কিছু করার। যাতে রাস্তারও ক্ষতি হবে না, জলাবদ্ধতাও নিরসন হবে। বক্স কালভার্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করব। জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূমিকা রাখবে আশা করছি।
পঞ্চগড় জেলার ঘাগড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া সীমান্তের বিপরীত ভারতের শিংপাড়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন (৩০) তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার মরদেহ আনার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো বদরুদ্দোজা।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে ভারতে গরু আনতে যান আনোয়ার হোসেন। শুক্রবার ভোরে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে ভারতে ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা।
বিজিবি জানায়, গুলির শব্দ পেয়ে এবং চোরাকারবারি প্রতিহত করতে আট রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন পঞ্চগড়ে ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরাও। পরে ঘটনাস্থল থেকে আনোয়ারের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এছাড়া ২০ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ দুই জেলে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর রাতের দিকে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কালির চলের প্রয়াত আব্দুল আলীর ছেলে আবুল হাসেম (৫০) এবং একই এলাকার মো: মোস্তফার ছেলে মো: জুয়েল (২৭)। তারা সম্পর্কে মামা ভাগিনা।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে ২৪ জন জেলে নিয়ে স্থানীয় রবিউল মাঝির একটি নৌকা হাতিয়ার বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে বেহুন্দী জাল বসাতে যায়। আজ শুক্রবার ভোরে ডুবো চরের সাথে ধাক্কা লেগে নৌকাটি উল্টে যায়। এ সময় ২০ জন জেলে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ৪ জন থেকে যান। পরে স্থানীয় জেলেরা নৌকার ভেতর থেকে আবুল হাসেম ও মো. জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করেন। দেলোয়ার ও ইরান নামে অপর দুই জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত জেলেদের গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম বইছে।
নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিটু কুমার নাথ জানান, খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। নিহত জেলেদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি ড্রেনের মধ্য থেকে নাচোল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নাচোল ইউপির সূর্যপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে নাচোল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে হাঁকরইল মাঠের পেয়ারা বাগানের পাশে একটি ড্রেনে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে বলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়।
পরে আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তবে স্থানীয়রা জানায়, কামরুল ইসলাম নিয়মিত চোলাই মদ পান করতো এবং এর কারনেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে তাদের ধারণা।