খুবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ
মারধর ও লাঞ্ছনাকে কেন্দ্র করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে থেমে থেমে এই সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক সেনা, নৌ ও পুলিশ সদস্য কাজ করছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ থেকে রাজীব পরিবহনের একটি বাসে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী খুলনায় আসছিলেন। ভাড়া নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাস শ্রমিকদের কথা-কাটাকাটি হয়। পরিবহনের সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে দিয়ে তাকে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন।
এ ঘটনা জানার পর তার সহপাঠীরা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে অবস্থান নেন। সেখানে কথা-কাটাকাটির জের ধরে পরিবহন শ্রমিকরা আবারও অন্য শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এতে খুবির ছাত্র আশিক, সিয়াম, জিসান আহমেদ, অরুপ বসু, হৃদয় ও শাহরিয়ার পারভেজ সাদ আহত হন। এ সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এ সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় যান। একপর্যায়ে তারা শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হাওলাদার সানওয়ার মাসুম বলেন, রাজিব পরিবহনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র খুলনায় আসছিলেন। তাকে বসার ছিট দেননি পরিবহনের সদস্যরা। পরে তাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে মারধর করেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাকে ছাড়িয়ে নিতে বাসস্ট্যান্ডে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টায়) প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে রয়েছে। সেনাবাহিনী ও নৌ, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।