পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত এনে বন্ধ কারখানা চালুর দাবি
বাংলাদেশ থেকে বিগত ১৫ বছরে পাচারকৃত ২৮ লক্ষ কোটি টাকা ফিরিয়ে এনে বন্ধ পাট, সুতা, বস্ত্র, চিনিকল চালু করা এবং নতুন শিল্প কারখানা গড়ে তুলে বেকারত্ব নিরসনের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা৷
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি জানান তারা৷
বক্তারা বলেন, অব্যবস্থাপনার সঙ্গে টাকার অভাবে পাট কেন্দ্রিক ২৬টি পাটকল, ৬৪টি সূতা-বস্ত্রকল এবং ৯টি চিনিকল বন্ধ রয়েছে৷ এতে লক্ষ লক্ষ বেকার হয়েছে৷
বক্তারা আরও বলেন, ছাত্র-শ্রমিক গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী-অগণতান্ত্রিক সরকারের পতন হয়েছে৷ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে শ্রমজীবী মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে৷
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, বিগত সময়ে পাচার হওয়া টাকার মালিক দেশের জনগণ, এই টাকার মালিক এদেশের শ্রমিকরা। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই, এই টাকা দেশে ফেরত আনতে হবে৷ এই টাকা দিয়ে বন্ধ থাকা কারখানা চালু করতে হবে৷ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কৃষি নির্ভর শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷ এতে বেকারত্ব কমবে৷ সরকারকে অনুরোধ করবে আমলাদের প্রেসক্রিপশনে কোনো দেশবিরোধী সিদ্ধান্ত যেন না নেয়৷
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিগত সময়ে সময়মতো পাট কিনলে দেশ থেকে ভালো মানের পাট কেনা যেত৷ আড়তদার-ফড়িয়াদের থেকে অসময়ে খারাপ মানের পাট কিনে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আঁখের রস ঠিকমতো সরবরাহ না করায় স্বভাবতই রস শুকিয়ে যায় এবং চিনির উৎপাদন কম হয়৷ এসব হয়েছে আমলাদের কারণে। তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি৷
মানববন্ধনে ৪টি শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন৷