গভর্নেন্সে জবাবদিহিতার মেকানিজম বাড়াতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

গভর্নেন্সে আমাদের জবাবদিহিতার মেকানিজম আরেকটু বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, আমাদের পলিসির কোনো অভাব নেই। আমাদের পলিসি মোটামুটি ভালো। কিন্তু আমার মনে হয় গভর্নেন্সে আমাদের জবাবদিহিতার মেকানিজম আরেকটু বাড়াতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত কৃষি খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কৃষি ও পানিকে একসাথে থাকতে হবে। পানি ব্যবস্থাপনাকে কৃষি ব্যবস্থাপনা থেকে সরিয়ে নেওয়া যাবে না। আমরা অধিক খাদ্য ফলাবো এতে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু খাদ্য অধিক ফললেই যে, যার খাদ্যের বেশি প্রয়োজন বা সে বেশি পাচ্ছে তা কিন্তু নয়। খাদ্যের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কৃষক অধিকার আইন বলে একটা আইন ২০০৮, ২০০৯ , ২০১০ ও ২০১১ এ সমস্ত সালে খসড়া হয়েছিল। ঐ খসড়া নিয়ে আমরা ভাবতে পারি। কৃষি জমি সুরক্ষা আইনের একটা খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। আমরা আশা করছি সেই খসড়াটি হয়তো জানুয়ারিতে পাবলিক কনসালটেশনের মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি আইনে পরিণত করার উদ্যোগ নিবে কৃষি মন্ত্রণাল। কৃষি বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।

তিনি আরও বলেন, খাদ্যের অধিকারকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা ভাবতে হবে। এখন কিন্তু খাদ্যের অধিকার বা নিরাপদ খাদ্যের অধিকার তো নেই। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও খাদ্য এগুলো আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে আছে। এগুলো মূলনীতি হিসেবে অবলবৎ থাকা উচিত নয়। এগুলো বলবৎযোগ্য অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখন একটা হাইব্রিড যুগে আছি। খাদ্যেও আমরা হাইব্রিড যুগে চলে গিয়েছি। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে বলা হয়, অধিক খাদ্য ফলাও; এটা যেমন একটা বাস্তবতা, অধিক খাদ্যের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্যও কিন্তু একটা বড় বাস্তবতা।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের একটা নীতি আছে। সেটির নাম হল অর্গানিক পার্মিং নীতিমালা। জৈব কৃষি নীতিমালা। সরকার এই নীতিমালা নিয়ে সিরিয়াসলি কাজ করছে এটা কিন্তু দেখিনি। অর্গানিক ফার্মিং করে বিদেশে আমাদের রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। এটা অনেকটাই হচ্ছে প্রাইভেট উদ্যোগে। তবে এটা সত্য এখন আমরা যে অবস্থায় এসেছি ১০০ পারসেন্ট অর্গানিক ফার্মিং দিয়ে আমরা এত মানুষকে খাওয়াতে পারবো না। কিন্তু আমাদের কৃষির একটা পরিমাণ তো অর্গানিক ফার্মিং হওয়া উচিত।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের মাটি, পানি, বায়ুকে নষ্ট করে কোনো উন্নয়ন হতে পারে না। এটা যদি হয় তাহলে বুঝতে হবে এটা ব্যক্তি স্বার্থের উন্নয়ন।

বিএআরএফ এর সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজমের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশনের (বিএসএ) মহাসচিব কৃষিবিদ ড. মো. আলী আফজাল প্রমুখ।