পর্যটকে মুখর সমুদ্র সৈকত, তিল ধারণের ঠাঁই নেই হোটেলগুলোতে

  • আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্টে যতদূর চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার। পর্যটকে থৈথৈ সমুদ্র সৈকত যেখানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এদিকে কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজের শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার এবং শনিবারকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে উপচেপড়া ভিড় নামে পর্যটকদের।

বিজ্ঞাপন

একদিকে পর্যটন মৌসুম অন্যদিকে স্কুল-কলেজে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। ডিসেম্বরের শেষ দিকে এসে সবাই বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। পার্বত্য জেলার চেয়ে কক্সবাজারকে নিরাপদ মনে করছেন অনেকেই। তাই অন্যান্য জেলার পর্যটন স্পটের চেয়ে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম বেশি। এছাড়া পাশের দেশ ভারতে ভিসা বন্ধ থাকায় সেদেশে ভ্রমণ পিপাসুদের বাড়তি চাপও সামলাচ্ছে দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজার।

ঢাকার বাংলামোটর থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক সাদেক আহমেদ বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে ফ্যামেলি ট্যুরে এসেছি। যেহেতু ছেলেমেয়েদের স্কুল বন্ধ তাই সবাই সময় বের করতে পেরেছে। আমরা একসাথে খুবই মজা করলাম সমুদ্র পাড়ে। খুবই ভালো লাগছে।

বিজ্ঞাপন


রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক সাঈদ সামি বলেন, কক্সবাজার কখনোই পুরাতন হয় না। যতবার ছুটি পাই সাগরপাড়ে ছুটে আসি। তবে ডিসেম্বরে বেশি পর্যটক। হাঁটাও যাচ্ছে না। সবখানে ভিড়। তাও ভালোই লাগছে।

এদিকে পর্যটকদের বাড়তি চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে সাগরে গোসলে নামা পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করা লাইফগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর রয়েছে তারা।

সি সেইফ লাইফগার্ডের সিনিয়র লাইফগার্ড মোহাম্মদ ওসমান জানান, প্রতিবছর ডিসেম্বরে এবং সবসময় সাপ্তাহিক ছুটির দিন গুলোতে পর্যটকের বাড়তি চাপ থাকে। চাপ সামলাতে আমাদের হিমসিম খেতে হয়। এবার ডিসেম্বরে অতিরিক্ত পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে। যেখানে-সেখানে পর্যটকরা নেমে পড়ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লাল-হলুদ পতাকার মাঝখানে গোসল করতে হবে এবং লাইফগার্ডের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

কক্সবাজার রিজিয়নের ট্যুরিস্ট পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম জানান, ভ্রমণের সিজন উপলক্ষে আমাদের নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। কোথাও কোনো নিরাপত্তার ঘাটতি করা হবে না। সম্মানিত পর্যটকরা ভ্রমণে এসে যাতে আনন্দ উপভোগ করে চলে যেতে পারেন সেলক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সমুদ্র সৈকত এলাকায় চলাচলে পর্যটকদের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে।