সুইট হাট জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
রাজবাড়ীতে দিনদিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে সুইট হাট-২ জাতের মিষ্টি কুমড়ার। অল্প খরচে উৎপাদন বেশি হওয়ায় এই জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। বাজারেও রয়েছে এ জাতের কুমড়ার ব্যাপক চাহিদা। পরীক্ষামূলকভাবে এই জাতের কুমড়া চাষ করার পর থেকেই সবাই আগ্রহ দেখাচ্ছেন সুইট হাট-২ জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষের।
জেলার গোয়ালন্দের উজানচর, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চলে গোয়ালন্দ আদ্-দ্বীন এগ্রো কেমিক্যালস্ এন্ড সীড কোম্পানির মিষ্টি কুমড়ার বীজ সুইট হাট-২ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কৃষকদের মধ্যে।
জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম বীজ বপণ করতে কৃষকের খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। বপণের শুরু থেকে মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে সময় লাগে ২ থেকে আড়াই মাস পর্যন্ত। এক্ষেত্রে কৃষকরা প্রতি বিঘা জমির মিষ্টি কুমড়া ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবে চাষিরা। সব ধরণের খরচ বাদে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছেন তারা।
উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, মিষ্টি কুমড়া গাছের বিশাল সমাহার। সবুজ গাছের প্রতিটি ডগায় ডগায় একের অধিক কুমড়া ধরে আছে। উজানচর ইউনিয়নের চর মহিদাপুর, চরকর্ণেশন, মজলিশপুর চরের অনেক কৃষক সুইট হাট-২ মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে প্রচুর। কৃষকরা ধারণা করছেন কুমড়াতে যদি পোকা না ধরে তাহলে ভালোই লাভবান হওয়ার আশায় আছেন।
উজানচর ইউনিয়নের চর মহিদাপুর এলাকার চাষি হাসেম শেখ বলেন, এবছর তিনটি জাতের মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন তিনি। এর মধ্যে গোয়ালন্দ বাজার আদ্-দ্বীন এগ্রো কেমিক্যালস্ এন্ড সীড কোম্পানি হতে সুইট হাট-২ মিষ্টি কুমড়ার জাতটি চাষ করে সবচাইতে বেশি ফলনের আশা করছেন। এবার লাভবান হবেন বলে তিনিসহ এই অঞ্চলের কৃষকেরা আশা করছেন।
চরকর্ণেশন এলাকার চাষি শুকুর ফকির বলেন, সুইট হাট-২ জাতের নতুন মিষ্টি কুমড়ার জাতের কথা শুনে এবছরই পরীক্ষামূলক প্রথম লাগিয়েছেন তিনি। নতুন জাত হলেও গাছের ডগায় ডগায় বেশ ফুল এসেছে। মনে হচ্ছে ফলনও ভালো হবে।
আদ্-দ্বীন এগ্রো কেমিক্যালস্ এন্ড সীড কোম্পানির চেয়ারম্যান ও গোয়ালন্দ বাজার আদ্-দ্বীন কৃষি ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. হুমায়ুন আহম্মেদ বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে এবছর কৃষকদের কথা চিন্তা করে কম খরচে বেশি লাভের জন্য মিষ্টি কুমড়ার তিনটি জাতের বীজ উৎপাদন করেছি। এর মধ্যে সুইট হাট-২ বীজে সাড়া পাচ্ছি বেশি। কৃষকদের মধ্যে সুইট হাট-২ বীজ দিতে পেরে ভালোই লাগছে। এ বীজটিতে কৃষকরা চাষ করে বেশিই লাভবান হবে বলে আমি মনে করছি। বীজটি বিক্রি করার পর বিভিন্ন কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করে দেখেছি এ জাতের গাছে প্রচুর কুমড়া ধরেছে। বাজার মূল্য ভালো থাকলে আশা করছি সবাই লাভবান হবেন।