গড়াইয়ের জেগে ওঠা চরে স্বপ্ন দেখছেন কৃষক
খরস্রোতা নদী গড়াই এখন মৃতপ্রায়। যে নদীতে ১২ মাস থাকার কথা পানি আর পানি, সেই নদী এখন পানিশূণ্য প্রায়। বছরের তিন মাস কোন রকম পানি থাকলেও বাকি ৯ মাসই থাকছে শুকনো। পানি না থাকায় নদীর বুকে জেগে ওঠে চর। সেই জেগে ওঠা চরেই এখন স্বপ্ন বুনছে কৃষক। মাইলের পর মাইল দীর্ঘ চরে কৃষক ফলাচ্ছে তার স্বপ্নের ফসল।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ও জঙ্গল ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত গড়াই নদী। গড়াই নদীর জেগে ওঠা চরে চলছে চাষাবাদ। বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফসল ফলাচ্ছে কৃষক। চরে ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছে চাষীরা। পলি মাটি হওয়ায় কোন রকম সার-কীটনাশক ব্যবহার না করেই চাষাবাদ চলছে চরে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে গড়াই নদীর নারুয়া ঘাট পার হয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ চরে হাতছানি দিচ্ছে কৃষকের ফসল। জেগে ওঠা পুরো চর এখন সরিষার দখলে। যতদূর দু’চোখ যায় ততদূর শুধু হলুদের সমাহার। নদীর মাঝ দিয়ে সরু খাল। খালের ওপর দিয়ে চাষ হচ্ছে ফসল। সরিষার পাশাপাশি কেউ কেউ আবার কলার বাগান করেছে। কলার বাগানের পাশ দিয়ে আবার সাথী ফসল হিসেবে চাষ হচ্ছে সরিষার।
নারুয়া গ্রামের একাধিক কৃষক বার্তা২৪.কমকে জানান, নদীতে তেমন পানি থাকে না। বছরের পুরোটা সময় প্রায় পানিশূণ্য থাকে। বর্ষা মৌসুমে কিছুটা পানি থাকলেও, সেটা বেশি দিন থাকেনা। ফলে গড়াই নদী শুকিয়ে থাকে সব সময়। শুকিয়ে থাকা জায়গাতে তারা বিভিন্ন ধরণের ফসল উৎপাদন করে থাকেন। মাটির উর্বরতা বেশি থাকায় ফসল উৎপাদন হয় ব্যাপক। অল্প খরচে তারা বেশি ফসল ঘরে তুলতে পারছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, গড়াই নদীতে জেগে ওঠা চরে নদী পারের বাসিন্দারা ফসল চাষ করে থাকেন। রবি মৌসুমের ফসলসহ বিভিন্ন ধরণের চাষাবাদ করে থাকেন তারা। পরিত্যক্ত জমিতে ফসল উৎপাদন এটি ইতিবাচক একটি দিক। ওখান থেকে ফসল উৎপাদন হওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা বেশ উপকৃত হন।