দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পুরনো সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারিনি: ভোক্তা ডিজি
আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এখনো পুরনো সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারি নাই বলে মন্তব্য করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেছেন, আমদানিগত ত্রুটি ও অব্যবস্থাপনার কারণে নিম্নগুণগত মানসম্পন্ন পণ্যকেও উচ্চ দামে এলসি এর মাধ্যমে আনতে হয়েছে। অন্যান্য দ্রব্যের ক্ষেত্রেও দাম বাড়তির দিকে। আগামী রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিভাগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাগরিক হিসেবে ভোক্তাদের যে অধিকারগুলো থাকে তা সংরক্ষণ করে। যখন সমাজে ভোক্তাদের অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটে তখন পৃথকভাবে সেটাকে প্রতিহত করার জন্য এ অধিদপ্তরের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি ক্যাব দেশব্যাপী ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কোথাও মানববন্ধন করেছে, কোথাও আন্দোলন করেছে, কোথাও আমাদের প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবামূলক এ কাজে তারা লেগে আছে। তারা এর বিনিময়ে কিছুই পান না।
অনুষ্ঠানে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির প্রধান হিসেবে বিভাগের জেলা প্রশাসকগণকে মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে দ্রুত কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
ক্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি জামিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আলমগীর রহমান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাছির উদ্দীন জুবায়ের। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।