মহড়ায় বাঁধা দেওয়ায় এলাকাবাসীর ওপর কিশোর গ্যাং এর হামলা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর আদাবরে কিশোর গ্যাং সদস্যদের মহড়ায় বাঁধা দেওয়ায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীর ওপর হামলা করেছে কিশোর গ্যাং চক্রের কয়েক'শ সদস্য। এ সময় স্থানীয় অর্ধশতাধিক বাসিন্দাসহ অটোরিকশা ও সিএনজি চালককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চক্রের সদস্যরা।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত আদাবরের মেহেদীবাগ,আদাবর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে প্রায় অর্ধশতধিক স্থানিয় বাসিন্দা আহত হয়ে হাসাপতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আহতরা হলেন- মশিউর রহমান মুন্না (৪২), আলমগীর (২০) ও আরিফ (২০)।

সূত্রে জানা যায়, কিশোর গ্যাং এর ভয়াবহ এ হামলার ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আদাবর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং চক্রের প্রধান সুমন ওরফে ডিবি সুমন। তার নেতৃত্বে পুরো এলাকা জুড়ে তান্ডব চালায় কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যরা। তিনি এক সময় স্থানীয় ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসু ও কাসু'র কিশোর গ্যাং বাহিনীর প্রধান ছিলো। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর হাসু ও কাসু পালিয়ে যাওয়ায় তাদের অনুপস্থিতে তার ভাই স্বাধীনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে কিশোর গ্যাংয়ের এ চক্রটি। স্থানীয়রা অনেকে অভিযোগ করছেন, এ ঘটনায় স্বাধীন এর ইন্ধনে পুরো এলাকায় ত্রাস কায়েম করার জন্য এমন মহড়া দিয়েছে চক্রটি।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টায় দিকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্রসহ ১৫-২০ জনের একটি দল আদাবরের মেহেদীবাগ এলাকা হয়ে আদাবর বাজারের দিকে মহড়া দিতে আসে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের পথ আটকালে স্থানীয়দের ওপর চড়াও হয় কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যরা। কিশোর গ্যাং এর এই মহড়ায় কেন বাঁধা দেওয়া হলো এ জন্য আবার রাত দশটায় প্রায় এক থেকে দেড়’শ সদস্য নিয়ে এসে সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কুপিয়ে আহত করে সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল রাতে এ ঘটনার সাথে জড়িত এক কিশোর গ্যাং সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে বাসিন্দারা।

এ ঘটনায় আহত মশিউর রহমান মুন্না'র ছেলে বাবু জানান, গতকাল রাতে কয়েক'শ কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যরা হঠাৎ করে দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এসে আতর্কিত হামলা করে। এ হামলায় আমার বাবা গুরুতর আহত হয়। আমার বাবা একজন সিএনজি চালক। গতকাল কিশোর গ্যাং এর হামালায় আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার বাবা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমরা এ ঘটনায় আদাবর থানায় মামলা করতে যাচ্ছি।

আরও এক ভুক্তভোগী আলমগীর জানান, গতকাল রাতে হঠাৎ করে কিশোর গ্যাংয়ের কয়েক'শ সদস্য দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এসে আতর্কিত হামলা করে আমাকে আহত করে। এ সময় যাদের সামনে পেয়েছে তাকেই কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আলমগীর, মুন্না ছাড়াও, আদাবরের মেহেদীবাগ এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক বাসিন্দা কিশোর গ্যাং এর হামলায় আহত হয়।

এ বিষয়ে আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাকারিয়া জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আদাবর থানায় এসেছে। আমরা তাদের অভিযোগ নিয়ে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।