বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান মারা গেছেন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালটির জনসংযোগ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, আনিসুর রহমান নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আনিসুর রহমানের জন্ম ১৯৩৩ সালে ময়মনসিংহ জেলায়।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস এর মহাপরিচালক বিনায়েক সেন বলেন, আনিসুর রহমান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইডি সম্পন্ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তার। ১৯৭৫ সালের পর তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় (আইএলও) যোগদান করেন। তিনি সেখানে দীর্ঘ ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি দেশে ফিরে নিজেকে লেখালেখিতে নিয়োজিত করেন। তিনি বিআইডিএস’র জার্নালে লিখেছেন।
অধ্যাপক আনিসুর রহমান রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী এবং গবেষক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। যুক্ত ছিলেন ছায়ানটের সঙ্গে। বিস্তর লেখালেখিও করেছেন।
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ রঙের কমলা। প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ কমলায় ডাল গুলো নুয়ে পড়েছে মাটিতে। এক অন্যরকম দৃশ্য! নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় চায়না জাতের কমলার বাগান করেছেন এক শিক্ষক দম্পতি। এই দৃশ্য দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছেন মানুষ। কয়েক বছর থেকে কমলা চাষ করে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন এই শিক্ষক।
শিক্ষক দম্পতি খলিলুর রহমান ও ফাতেমা খাতুন মজুমদারের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামে। খলিলুর রহমান পেশায় মোজাম্মেল হোসেন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন মজুমদার পশ্চিম সারডুবি পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী সহকারী শিক্ষক। বাগানে চায়না জাতের কমলার পাশাপাশি নাগপুরি, দার্জিলিং চায়না থ্রি জাতের কমলার গাছও রয়েছে। শিক্ষকতার পাশাপাশি কমলা চাষে তার সাফল্য ঐ এলাকার মানুষদের অণুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। ফলে, তার কমলা বাগান দেখে অনেকেই কমলা চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
শনিবার(৪ জানুয়ারি) তার এই বাগান ঘুরে দেখেন প্রতিবেদক। বাগানের মালিক জানান, ২০১১ সালে এক বিঘা জমিতে দার্জিলিং জাতের কমলা চারার বাগান দিয়ে যাত্রা শুরু। ৪ বছর পর ১৫২টি গাছে ফল আসে। এর পর ২০২০ সালে প্রায় একর জমিতে চায়না জাতের ৪০০ কমলা গাছের বাগান তৈরি করেন। তিন বছর পর ২০২৪ সালের শেষের দিকে প্রতিটি গাছে আশানুরূপ ফল এসেছে। বর্তমানে কমলার রং হলুদ আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত বাজারে প্রায় লক্ষাধিক টাকার কমলা বিক্রি করেছেন তিনি। কমলা চাষে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তারা।
খলিলুর রহমান বলেন,কমলা বাগান করার তিন বছর পর প্রচুর পরিমাণে কমলা ধরেছে। নিজ পেশার পাশাপাশি কমলা বাগান করলে ফলের চাহিদা পূরণ হবে। পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যাবে। আপনারা বাগান দেখতে আসুন, ফল খান, আপনারও বাগান করুন।
ফাতেমা খাতুন মজুমদার বলেন, শখের বসে শিক্ষকতার পাশাপাশি কমলা চাষ করছি। ২০১১ সালে কমলা বাগান করার পর থেকে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের সহযোগিতায় কমলা বাগানে সফলতা আসে। জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাওয়ার পর কমলা চাষে আরো আগ্রহ বেড়ে যায়।
প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন বলেন, এই এলাকায় এত ভালো কমলা হবে আগে জানা ছিলোনা। আমাদের এলাকার কমলা বাগান আমাদেরকে গর্বিত করেছে। এতো সুন্দর একটি কমলা বাগান। এটি দেখে এলাকার অনেকেই বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, কমলা বাগানটি আমরা পরিদর্শন করেছি। বাগানে প্রচুর পরিমাণে কমলার ফলন হয়েছে। আমাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি।
অবশেষে চিকিৎসার জন্য আজ বিদেশ যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অবতরণ করবে। সেখানে তিনি ভিআইপি প্রটোকল পাবেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বহন করার জন্য ইতোমধ্যে কাতার আমিরের পক্ষ থেকে পাঠানো অত্যাধুনিক আইসিইউ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে বহনকারী স্পেশাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিরতি শেষে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, লন্ডন ক্লিনিক বলে একটা পুরোনো ঐতিহ্যবাহী হসপিটাল আছে। সেই হসপিটালে এটি এনএইচএস-এর অধীন একটি হসপিটাল। সেখানে তাকে (খালেদা জিয়া) ভর্তি করা হবে। হিথ্রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে উনাকে সরাসরি সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। এই হসপিটালে উনি চিকিৎসাধীন থাকবেন।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার জানান, ১০ জানুয়ারি রাত ৮টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হবেন খালেদা জিয়া। রাত ৯টায় বিমানবন্দরে উপস্থিত ও ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করবেন।
খালেদার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুর উদ্দিন আহমদ ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় এক মোবাইল দোকানদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের রামপুর জোড়াপোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দোকানদারের নাম সুদেব হালদার (২৮)। তিনি বেতরা গ্রামের সুব্রত হালদারের ছেলে। স্থানীয় বাউকাঠি বাজারে তিনি একটি মোবাইলের দোকান চালাতেন।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাউকাঠি বাজারে সুদেবের একটি মোবাইলের দোকান আছে। গতকাল রাত ১২টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ির পথে রওনা হলে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। সকালে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মাথায় কোপের আঘাত দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। সুরতহাল করার পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে মানিকগঞ্জ ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনের মানিকগঞ্জ হাউজের ৪ তলা ভবনের ২ তলায় একটি ল'চেম্বারে সকাল ৯টা ১৭ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোলরুম কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে তিনি জানান, সকাল ৯টা ১৭ মিনিটের দিকে মানিকগঞ্জ হাউযে দ্বিতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাতের খবর আসে। ওই খবরে ঘটনাস্থলে একে একে মোট ৫টি ইউনিট পাঠানো হয়। ভবনটির দোতলায় একটি ল’ চেম্বার রয়েছে। সেখানে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।