বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপিও নীতিমালা ২০২১ বাতিল করে স্বীকৃতি প্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদ।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অন্যদিকে, একই পাঠক্রমে পাঠদানকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি সুবিধা ভোগ করছেন। এই বৈষম্য শিক্ষাক্ষেত্রের অগ্রগতিতে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
সংগঠনের নেতারা ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রণীত এমপিও নীতিমালা ২০২১ বাতিলের দাবি জানান এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত করার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, স্বীকৃতিই এমপিওভুক্তির একমাত্র মানদণ্ড হওয়া উচিত। বৈষম্যমূলক নীতিমালার কারণে বহু নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক শিক্ষক আর্থিক সংকটে দিনমজুরি কিংবা অটোচালনার মতো পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ ঋণগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতেও বাধ্য হয়েছেন।
নেতারা আরও উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত এমপিওভুক্ত করে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
নন- এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান ফারুকের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মজনু মোহাম্মদ প্রামাণিক, সহ সভাপতি আবু বক্কর মো. এরশাদুল হক, অধ্যক্ষ পল্লব কুমার, অধ্যক্ষ সায়েম, শামসুল আলম, ফরহাদ হোসেন বাবুল, অধ্যক্ষ এরশাদুল হক খান, অর্থ সম্পাদক অধ্যক্ষ হাফিজ রুহুল আমিন, সহ সম্পাদক অধ্যক্ষ আফতাবুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক পনির উদ্দিন, অধ্যক্ষ সালেহউজ্জামান চৌধুরী রাজন, রায়হান কবির প্রমুখ।