ফের শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,পঞ্চগড়
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

একদিনের ব্যবধানে আবারও মৃদু শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। বিশেষ করে এ জেলাটি হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে ওঠানামা করছে।

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসময় বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ৮৭ শতাংশ ছিল। বাতাসের গতি প্রতি ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার।

এদিকে, উত্তরের হিমেল হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সকাল ও রাতভর তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের। দৈনন্দিন আয় কমে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে বাড়ির আশপাশে এবং পথঘাটে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

জেলা তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দা নদী পাথর উত্তোলন করতে আসা রমিজুল ইসলাম বলেন, আমরা গরীব মানুষ, শীতকাল আসলে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। শীতের কারণে পাথর উত্তোলন করতে পারছি না। অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছি।

বিজ্ঞাপন

একই কথা বলেন জেলার সদর উপজেলার অমর খানা এলাকার চা শ্রমিক আবু তালেব, তিনি বলেন, গত কয়েকদিন থেকে অনেক শীত অনুভূত হচ্ছে। আমাদের অনেক কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে।

তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি ) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ৮৭ শতাংশ ছিল। যা গতকাল সকাল ৯ টায় ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে গতকয়েকদিন থেকেই এ জেলায় তাপমাত্রা ১২ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। বিশেষ করে হিমালয় বিধৌত এলাকায় এ জেলাটির অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। সামনে তাপমাত্রা কমতে পারে।