চুরি ঠেকাতে রাত জেগে গ্রামবাসীর পাহারা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নের বাগগাড়ী গ্রামে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। সম্প্রতি এলাকার দোকানপাট গরু-ছাগল বসত বাড়ীর মালামাল অটো-ভ্যান, সাইকেল, পেঁয়াজ চুরিসহ অর্ধশতাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে দিন দিন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে গ্রামবাসী।

নিজেদের সস্পদ রক্ষায় চুরি ও ডাকাতি ঠেকাতে রাত জেগে পালাক্রমে পাহারার উদ্যোগ নিয়েছেন গ্রামবাসী। প্রত্যেক পাহারাদারের হাতেই থাকছে টর্চলাইট ও লাঠি। প্রতি রাতে পাহারার ব্যবস্থা থাকায় গ্রামের মানুষের মাঝে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সর্বশেষ গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে গ্রামের টুটুল মোল্লার প্রায় ৪০ হাজার টাকা দামের ২টি ছাগল চুরি হয়। এর আগে আজম ও আব্দুল ছালাম মন্ডলের দোকান ঘরের টিন কেটে নগদ টাকাসহ মালামাল ও আলাউদ্দিনের বাড়ী থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। এছাড়াও বেশ কয়েকজনের বাড়ী থেকে অটো-ভ্যান ও পেঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটেছে। 

স্থানীয়দের দাবী, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যদি আরো তৎপর হয় তাহলে হয়তো চুরি-ডাকাতি কমে আসবে। সে জন্য তারা রাতে গ্রামে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তদারকি ও টহল বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। দিন দিন চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের মূল্যবান সম্পদ ও আয়ের উৎস হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

টুটুল মোল্লা নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, প্রতি রাতে গ্রামের কোনো না কোনো বাড়ী চুরির ঘটনা ঘটেই চলছিলো। দিনের পর দিন অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে চুরি ঠেকাতে নিজেরাই পাহারা দিচ্ছি। গ্রামের সবাইকে নিয়ে এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করে প্রতিদিন গ্রামে পাহারা অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করবো। 

গ্রাম পাহারা দিতে আসা যুবক রাসেল মোল্লা জানান, প্রতিনিয়ত চোরের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। যানমালের রক্ষায় নিজেরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি। আমাদের সম্পদ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। গ্রামে চুরি ঠেকাতে রাত জেগে গ্রামে পাহারা দেওয়ার পর থেকে আজ ১০ দিন হলো গ্রামে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, এটি গ্রামবাসীর একটি ভালো উদ্যোগ। এ ব্যাপারে আমি ওই গ্রামে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় গিয়েছিলাম। গ্রামের সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর পক্ষেই তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে চুরি ঠেকাতে প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। আমরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সর্বদা সজাগ রয়েছি। চোর চক্রের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করতে পারব।