হাজারীবাগ থেকে ডাকাত দলের দুই সদস্য গ্রেফতার
রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে দুর্ধর্ষ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই সক্রিয় সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি-রমনা বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। এর আগে, বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোঃ ইমরান হোসেন (২৪) ও মোঃ শিপন (১৯)।
তিনি জানান, হাজারীবাগ থানার আর,এস ফিলিং স্টেশনের সামনে বেড়িবাঁধের ওপর একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডিবি-রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিম। ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে ও মোটরসাইকেলে করে পালানোর সময় ইমরান ও শিপনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর তাদের দেহ তল্লাশি করে গ্রেফতারকৃত ইমরানের সাথে থাকা স্কুল ব্যাগ থেকে একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ সময় তাদের সাথে থাকা অন্যান্যরা দৌঁড়ে ও মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাজারিবাগ থানায় গ্রেফতারকৃতরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা মোহাম্মদপুর এলাকার চিহ্নিত ডাকাত দল ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা মোটরসাইকেলে করে এসে সুযোগ বুঝে রিকশা, সিএনজি বা অন্যান্য যানবাহন থামিয়ে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে ডাকাতি করতো। এছাড়া তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে মাদক, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতো।
পুলিশের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ইমরানের বিরদ্ধে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ডাকাতি ও হত্যা চেষ্টার দুটি মামলা রয়েছে। অপর গ্রেফতারকৃত শিপনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ডাকাতি, হত্যা ও হত্যা চেষ্টার চারটি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতক অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।