মিরপুরে বাটা শো-রুমে আগুন
রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বরে বাটার শো-রুমে আগুন লেগেছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিট কাজ করছে বলে জানা গেছে।
বিস্তারিত আসছে...
রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বরে বাটার শো-রুমে আগুন লেগেছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিট কাজ করছে বলে জানা গেছে।
বিস্তারিত আসছে...
ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা আবার সক্রিয় হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা লিখেন তিনি। পোস্টে তিনি মিত্রদের জড়ো করতে ও শত্রুদের চিহ্নিত করতে বলেছেন।
মাহফুজ আলম লিখেছেন, কিন্তু কালচারাল ফ্যাসিজম এবং পুরোনো অর্থনৈতিক বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে আপনাদের–আমাদের নিরন্তর লড়াই প্রয়োজন। সামাজিক ফ্যাসিবাদ বনাম সেক্যুলারিস্ট শক্তির ছদ্ম খেলা নস্যাৎ করে দেওয়া দরকার। নইলে এ দুই শক্তি এ প্রজন্মকে হত্যাযোগ্য করে তুলবে। ফিফথ আগস্ট ডিভিশনকে প্রশ্ন করুন। (যাঁরা ৫ তারিখে এসে আন্দোলনে অংশ নিলেন, কিন্তু জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করেননি!)
জুলাই একটা মিলন বিন্দু ছিল। ভাবাদর্শিক লড়াই নিয়ে আপনাদের সতর্ক করেছিলাম। পাঁচ মাস পরে তা সত্য হয়ে উঠছে। শাপলা-শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা হচ্ছে। মুজিববাদী প্যারাডাইম আর ইতিহাস তত্ত্ব আবার সক্রিয় হচ্ছে। বিপরীতে সৃজনের বদলে প্রতিক্রিয়াই শক্তিশালী হচ্ছে। নতুনভাবে এ রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীকে গঠনের ঐতিহাসিক সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে পুরোনো বন্দোবস্তের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতায়!
এগুলো কি একা সরকারের দায় বলে মনে করেন? কিংবা একা মাহফুজ আলমের দায়?’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫০টির বেশি আন্দোলন মোকাবিলা করেছে। অর্থনীতিকে খাদের কিনারে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছে। আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জুলাই শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের অর্থ দান ও পুনর্বাসন থেকে শুরু করে বিচার ও সংস্কারের জন্য আমরা নিরন্তর কাজ করছি। এখনো জনগণের যেকোনো ন্যায্য দাবি সময়সাপেক্ষ হলেও পূরণ হচ্ছে। সরকার শুনছে, কাজ করছে।
কিন্তু ভাবাদর্শিক গোঁড়ামি করে এবং বিদেশি প্রেসক্রিপশন নিয়ে যাঁরা এ রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সম্ভাবনাকে নস্যাতে দাঁড়িয়ে গেছেন, তাদের সবার খতিয়ান আমাদের প্রজন্মের কাছে আছে। কালচারাল শক্তি ও গণমাধ্যমগুলো নিছক ভাবাদর্শিক লাভ–ক্ষতির জায়গা থেকে যেভাবে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে বেইমানি করছেন, তা–ও আমাদের প্রজন্ম মনে রাখবে।
মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘আমরা যেদিন আবার রাজপথে নেমে আসব সেদিন প্রতিদিনের ডায়েরিতে টুকে রাখা আমাদের দিন–রাতের কাজগুলোর আমলনামা নিয়ে জনগণের সামনে আসব। কিন্তু আপনারা জুলাই বিরোধী শক্তি যাবেন কোথায়? জুলাইয়ের মিত্র সেজে জুলাইয়ের পিঠে ছুরি চালানো হন্তারকেরা পালাবেন কোথায়?
আপনাদের আমলনামাও আমরা রাখছি। ভাবাদর্শ আর ভিনদেশের পাতানো খেলায় নেমে যেভাবে আচ্ছন্ন করে রাখলেন বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে, এটার জবাব দেবে জনগণ!
বগুড়ার গাবতলীতে ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান যুবদল নেতা হৃদয় হোসেন গোলজারসহ পাঁচ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে গাবতলী থানায় মামলা দায়ের করেন গাবতলী উপজেলার চামুরপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আশিক ইকবাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যুবদল নেতা ছাড়াও মামলায় আসামী করা হয়েছে, গাবতলীর চাকলা গ্রামের বেলুজ মন্ডল,তার ছেলে শুভ এবং যুবদল নেতার সহযোগী আনিছার ও রেজাকে।
পুলিশ জানায়, চাকলা গ্রামের বেলুজ মন্ডলকে ভিয়েতনামে ভাল চাকরি দেয়ার কথা বলে ভ্রমন ভিসায় পাঠায় চামুরপাড়া গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হান্নান। সেখানে চাকরি না পেয়ে বেলুজ মন্ডল দেশে ফিরে টাকা ফেরত চাইলে হান্নান তালবাহানা শুরু করে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে হান্নান নাড়ুয়ামালা আসলে বেলুজ মন্ডলের লোকজন হান্নানকে সিএনজিসহ ধরে নিয়ে তার বাড়িতে আটকে রাখে। এ খবর পেয়ে হান্নানের বাড়ি থেকে লোকজন বেলুজ মন্ডলের বাড়িতে গেলে নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হৃদয় হোসেন গোলজার তার সহযোগীদের নিয়ে সেখানে হাজির হন। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায় হৃদয় হোসেন গোলজার ও তার লোকজন হান্নানসহ তার বাড়ি থেকে আসা লোকজনকে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এঘটনায় হান্নানের ছোট ভাই জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার রাতে গাবতলী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আশিক ইকবাল বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে।হান্নানের সিএনজি চালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে আগামী বর্ষার আগে করণীয় হিসেবে ১১ দফা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদারকি দল। প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আগামী মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ব্যর্থ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রকল্পের অর্থছাড় বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। স
ভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বীরপ্রতীক। এসময় প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং মতামত তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, চার মাস সময় দেওয়া হলো। এরপরও যদি কোনো ফল না আসে, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা দৃশ্যমান সুফল আশা করি। বর্ষায় আমরা এসে আবার প্রকল্প মনিটরিং করব। যারা ব্যর্থ হবেন, তাদের দায় নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নালা-নর্দমা পরিষ্কার না হওয়া এবং বর্জ্যে ভরে যাওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ। সিটি কর্পোরেশনের অনেক জনবল নিয়োগ করা আছে, কিন্তু তাদের কাজের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আমাদের সামাজিক আন্দোলনের মতো কাজ করতে হবে। এজন্য ১৫ দিনের জন্য ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়ে ড্রেন ও খাল পরিষ্কারে কাজ করানো হবে।
পাহাড় কাটা বন্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধ না করলে জলাবদ্ধতা নিরসন অসম্ভব। বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, খালের পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ ভবনগুলো সরাতে ভূমি প্রশাসনকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। খাল-ড্রেন পরিষ্কার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর বেশি জোর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পাহাড় কাটার সঙ্গে জলাবদ্ধতার সম্পর্ক থাকলেও সেটি গৌণ। বরং খাল পরিষ্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি। একটার পর একটা ব্যবস্থা নিলে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বীরপ্রতীক বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাব ছিল। এবার সবার সমন্বিত উদ্যোগে কাজ হবে। খাল পুনরুদ্ধার ও নির্মাণাধীন খালগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গত ১৬ বছর ধরে কোনো সমন্বয় ছিল না, এটাই মূল পয়েন্ট। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি এক হয়ে প্ল্যান নিতো তাহলে এসব কথাগুলো আসতো না। এক সংস্থার প্রজেক্ট আরেক সংস্থার কাছে চলে গিয়েছিল। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম সেসময় এর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছি। তখন সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় ছিল না। আমরা এখন খুব আশাবাদী। কারণ আমাদের মধ্যে সমন্বয় আছে।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, অতীতে যে বাজেটগুলো হয়েছে এবং সেখান থেকে ব্যয় করা হয়েছে এর পর্যালোচনা করা দরকার। ৩০০ কোটি টাকার বাজেট কীভাবে ১ হাজার ৩০০ কোটি হয়ে যায় সেটা আমাদের জানা দরকার। এটার পেছনে যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। খালের পাশে যেসব দখলদার আছেন তাদের বাড়ি ভেঙে ফেলেন। না পারলে আমাদের সহযোগিতা নেন।
১১ দফা কর্মপরিকল্পনা:
১. চট্টগ্রাম শহরের সকল ধরণের পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে।
২. চট্টগ্রাম শহরের প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া, যেসকল সুয়ারেজের লাইন সরারসি ড্রেনে উন্মুক্ত হয়েছে, সেসকল সুয়ারেজের লাইন স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন ১৭ টি স্লুইচগেটের মধ্যে ১৫টি আগামী মে মাসের মধ্যে চালু করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণাধীন ২১ টি স্লুইচগেটের মধ্যে ১২টি একই সময়ের মধ্যে চালু করতে হবে।
৪. চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করাযর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৫. চসিককে বারইপাড়া খাল খননের কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। মে মাসের মধ্যে এ খালের সকল বর্জ্য পরিষ্কার করতে হবে।
৬. চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রামের সভাপতিত্বে গঠিত কমিটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজের সমন্বয় করবে। এ কমিটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সাংবাদিক/সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
৭. চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পগুলোর আওতায় চলমান খাল খনন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খালগুলো দখলমুক্ত করার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে হবে।
৮. কর্ণফুলী নদীর প্রয়োজনীয় নাব্যতা ও গভীরতা বজায় রাখার জন্য মেইনট্যানেন্স ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৯ . জলাবদ্ধতার হট স্পটগুলোতে পাম্পহাউজ চালু করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
১০. রিসাইকেলিংয়ের মাধ্যমে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে আগামী মে মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
১১. প্রকল্পগুলোর বাইরে থাকা ২১ টি খাল ও ড্রেনের বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
পাহাড়ের মালিক হলেও কেউ পাহাড় কাটলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি অবৈধভাবে পাহাড়ে বসবাসকারীদের বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। অবৈধ দখলকারীরা কীভাবে এসব সংযোগ পায় সেই প্রশ্নও তুলেছেন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের আকবরশাহ্ এলাকায় অবৈধ পাহাড় কাটা রোধে পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং পাহাড় সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ওপর জোর দেন।
উপদেষ্টা বলেন, অপরিকল্পিত পাহাড় কাটা ও অব্যবস্থাপনার কারণে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। এ ধরনের কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পাহাড় সংরক্ষণ শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি সবার দায়িত্ব। স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন ও পরিবেশবাদীদের সম্মিলিত উদ্যোগে পাহাড়ি অঞ্চলের পরিবেশ পুনরুদ্ধার সম্ভব।
পরিদর্শনের সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, স্থানীয় প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা পাহাড়ি অঞ্চলের সমস্যা তুলে ধরেন এবং এর সমাধানে সহযোগিতা চান।
উপদেষ্টা স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে পাহাড় ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা অত্যাবশ্যক। পরিবেশবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।