ফরিদপুরের ভাঙ্গার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ১৫ কেজি গাঁজাসহ দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এই দুই নারী গলায় দৈনিক সরেজমিন ও চ্যানেল এস টিভির কার্ড ঝুলিয়ে মাদক নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের চেকপোস্টে গ্রেফতার হন।
আটককৃতরা হলেন, বরিশাল বেতাগী থানার বেতাগী গ্রামের আসিফ মল্লিকের স্ত্রী সামিয়া বেগম ও বাগেরহাটের কচুয়া থানার মো: সোহাগের স্ত্রী মারিয়া বেগম।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোকছেদুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ঢাকা থেকে মাদকের চালান ভাঙ্গায় ঢুকবে। এজন্য সন্ধ্যার পর থেকে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার সামনে পুলিশের একটি চেকপোস্ট বসানো হয়।
পরে রাত ৯টার দিকে সাদা একটি মাইক্রোবাস থামানোর জন্য সংকেত দিলে গাড়িটি পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রম করে পালানোর চেষ্টা করে । পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে গাড়িটি ভাঙ্গার মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থেকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এই সময় গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। পরে গাড়িটি তল্লাশী করে ৬ প্যাকেটে ১৫ কেজি গাজা, ৩ টি মোবাইল ও একটি নোয়া গাড়িসহ দুই নারীকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়।
ওসি আরো জানায়, গাড়িটি তল্লাশীর সময়ে গ্রেফতার দুই নারী পুলিশের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দেয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, তারা ভূয়া সাংবাদিক । তারা দু'জন ঢাকার সাইনবোর্ড থেকে ১৫ কেজি গাজাঁ নিয়ে ভাঙ্গায় নিয়ে আসছিল।
তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটক দুই নারীকে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
জামালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুর বাড়ীতে গোপন বৈঠকের সময় তাঁর আট অনুসারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (২০ জানুয়ারী) রাতে পৌর শহরের পাথালিয়া এলাকায় মেয়র ছানুর বাড়ী থেকে তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো.আতিক।
আটককৃতরা হলেন, পাথালিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আলী আকবরের ছেলে আক্রাম হোসেন (৫২), মৃত কেরামত আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৮), মৃত সুরুজ আলীর ছেলে মাহমুদুর রহমান (৪৫) ও মৃত গুল মাহমুদের ছেলে আব্দুল মজিদ, পাথালিয়া গুয়াবাড়ী এলাকার মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে মো.হেলাল উদ্দিন (৪৫), পাথালিয়া মধ্যপাড়া এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে ও মেয়র ছানুর অফিস সহকারী মো.রাশেদুল ইসলাম (৯), কম্পপুর মধ্যপাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেনর ছেলে মো.শামীম (৩৮) এবং বসাকপাড়া এলাকার মনিন্দ্র চন্দ্র দে’র ছেলে বিজয়।
পুলিশ জানায়, পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুর পাথালিয়ার বাড়ীতে তাঁর অনুসারীরা রাতে গোপন বৈঠক করছেন। এমন গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে সাবেক মেয়র ছানুর বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নাশকতার পরিকল্পনার গোপন বৈঠক থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
মুঠোফোনে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো.আতিক বলেন, তাঁরা সাবেক মেয়র ছানুর অনুসারী ও আওয়ামী লীগের কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান থাকছে। তবে এ কোটা শুধু মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে, তাদের নাতি-নাতনি বা অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য হবে না।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ সালের এমবিবিএস ভর্তি কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান বিধি অনুসারে শুধু মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে, তাদের নাতি-নাতনি বা অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য হবে না। এ কোটার অধীনে সংরক্ষিত ২৬৯টি আসনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জন প্রার্থী পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট ৭৬টি আসন ইতোমধ্যে মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯৩ জনের পিতা/মাতার মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র, নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদসহ যাবতীয় প্রমাণাদি ও একাডেমিক সার্টিফিকেট নিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনের দোতলায় অবস্থিত মেডিকেল এডুকেশন শাখায় উপস্থিত হয়ে যাচাই-বাছাই করাতে হবে। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল বা অসত্য তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ভর্তি বাতিল হবে এবং মেধা তালিকা থেকে সেই শূন্য আসন পূরণ করা হবে।
যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই ১৯৩ জনের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং অবশিষ্টদের ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অনুমোদন না নিয়ে ইট ভাটা চালু করায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ৪টি ইট ভাটা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। একই সাথে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিনভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানাসহ ভাটা বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) রওজাতুন জান্নাত।
জরিমানা গুনা ও বন্ধ ঘোষণ করা ইটভাটাগুলো হলো, উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের পুর্ব দৈলজোড় গ্রামের ওয়ান স্টার ব্রিকসের ২ লাখ টাকা, জেআর ব্রিকসের ২০ হাজার টাকা, পশ্চিম ভেলাবাড়ি গ্রামের সান টু ব্রিকসের ১ লাখ টাকা ও খাতাপাড়া এলাকার এলএস ব্রিকসের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এসব ভাটার ইট তৈরি পোড়ানোসহ সকল ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রওজাতুন জান্নাত জানান, আদিতমারী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে মহিষখোচা ও পলাশী ইউনিয়ন বাদে বাকী ৬টিতে ১০টি ইট ভাটা রয়েছে। যার মধ্যে ৪টি ইট ভাটার বৈধ কোন কাগজপত্র নেই এবং ইট পোড়ানোর কোন অনুমোদন নেই। বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ইট ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। এমন একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিনভর পুলিশ নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন তিনি।
এ সময় পৃথক অভিযানে ভাটা মালিকরা বৈধ কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ৪টি ভাটা মালিকের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একই সাথে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ইট তৈরি ও পোড়ানো সহ সকল ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।