পানামা খাল দখল, মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থার কথা জানালেন ট্রাম্প
আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ গ্রহণ শেষে দীর্ঘ বক্তব্য দেন তিনি। ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে, আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত। এ দুই সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করার কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে যে ‘লাখ লাখ অপরাধী’ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমার ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ বা ‘মেক্সিকোতেই থাকো’ নীতি পুনরায় কার্যকর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় আরও সৈনিক ও জনবল পাঠানো হবে। মাদক চক্রগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হবে নির্বাহী আদেশে।
তিনি আরও বলেন, ‘এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮’ পুনর্বহাল করা হবে। এ আইনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশি গ্যাংগুলো’ দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারে। মাদক চক্র বা কার্টেলগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হবে এসব নির্বাহী আদেশে।
'এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮' পুনর্বহাল করা হবে, যাতে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো 'যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশি গ্যাংগুলো' দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারে।
এছাড়াও শপথ গ্রহণ শেষে দীর্ঘ বক্তব্যে পানামা খাল দখলের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “পানামা খালে আমেরিকান জাহাজের কাছ থেকে বেশি অর্থ নেওয়া হচ্ছে এবং আমাদের জাহাজকে ভালো সেবা দেওয়া হচ্ছে না। আমরা পানামা খাল ফিরিয়ে নিচ্ছি।”
ট্রাম্প দাবি করেন, খালটি তৈরির সময় ৩৮ হাজার আমেরিকান জীবন দিয়েছেন। এছাড়া চীন এটি নিয়ন্ত্রণ করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও তার এই দাবিগুলোর সত্যতা নেই। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এই খাল বানানোর সময় ৫ হাজার ৬০০ জনের মৃত্যু হয়। তবে বেশিরভাগই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের— যেমন অ্যান্টিগা, বার্বাডোস এবং জ্যামাইকার বাসিন্দা ছিলেন।