জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের শ্রদ্ধা ও শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ফেনীতে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম 'জুলাই ২৪' শহীদ চত্বর। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ চত্ত্বর নির্মাণের তত্ত্বাবধানে থাকবে ফেনী পৌরসভা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ফেনী সদর হাসপাতাল মোড় সংলগ্ন একরাম চত্বরকে শহীদ চত্বর হিসেবে পুনর্নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক (ডিডিএলজি) ও পৌর প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন ও ফেনীর শহীদ ইশতিয়াক আহম্মদ শ্রাবণের বাবা নেছার আহমেদ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) ও ফেনী পৌর প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন বলেন, ফেনীর মাটিতে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে রক্তক্ষয়ী ও ন্যাক্কারজনক ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রায় ১১ জন ছাত্র-জনতা শহীদ হন এবং অনেকে আহত হন।
তিনি আরও বলেন, শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ফেনী পৌরসভার তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো শহীদদের স্মৃতিরক্ষার্থে একটি চত্বর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে বলে জানান তিনি।
ছাত্র প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো ফেনীতে ‘জুলাই ২৪’ শহীদ চত্বর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ কাজ দুই-এক মাসের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। এ চত্বরটির কাজ শেষ হওয়ার পর ফেনীর মহিপাল জিরো পয়েন্টে শহীদদের স্মরণে আরেকটি চত্বর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, পরশুরাম উপজেলায় শহীদ কাউসারের নামে একটি চত্বর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আর্কিটেক্ট মোশারফ হোসেন (সাগর), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন, আরমান হোসেন রাফি, সালাউদ্দিন শাওন, সাব্বির প্রমুখ।
উল্লেখ্য ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় ১১ জন ছাত্র-জনতা নিহত হয়।