কুমিল্লার তিন উপজেলায় থেকে ৩ লাশ উদ্ধার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার তিন উপজেলায় একদিনে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত জেলার সদর দক্ষিণ, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একজন নারী, একজন ইনস্যুরেন্স কর্মী ও আরেকজনের পরিচয় এখনও মেলেনি।

সদর দক্ষিণ থানা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খালে এক পুরুষের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার জেলখানা বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সদর দক্ষিণ থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লাশটির শরীরে একটি জ্যাকেট ছিল। আমরা যখন উদ্ধার করি, লাশের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন কিংবা রক্ত দেখতে পাইনি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে তদন্ত ছাড়া আমরা নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলা যাবে।

এদিকে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হোটেল ড্রিমল্যান্ড থেকে আলতাফ হোসেন (৩৭) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি প্রগতি ইনস্যুরেন্সে চাকরি করতেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধারের পর আমরা তার পরিবারকে জানিয়েছি। তার পরিবার আসছে। আমরা এখনও জানি না তিনি এখানে কীভাবে এলেন এবং কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে সিআইডিসহ বিভিন্ন টিমের তদন্ত চলমান আছে। বিস্তারিত জেনে জানাতে পারবো। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান।

কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের সড়কের পাশে স্থানীয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর স্ত্রী। রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বান্দুইয়ান গ্রামের সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনোহরগঞ্জ থানার এসআই ইমন হোসেন। তিনি বলেন, ওই নারী বাড়িতে একাই থাকতেন। গত রাতে স্থানীয়রা তার লাশ পেয়ে পুলিশের খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে। কিন্তু কীভাবে তার মৃত্যু হলো এবং এত রাতে তিনি কেন এখানে এলেন তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।