টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। ফজর নামাজের পর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আয়োজন। এতে অংশগ্রহণ নেবেন শুরায়ী নেজামের অর্থাৎ মাওলানা জোবায়েরপন্থি তাবলীগের সাথীরা।
প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন খিত্তা ও পয়েন্টের জিম্মাদার মুসল্লিরা এরই মধ্যে ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। যারা ইজতেমা ময়দানে এসেছেন তারা তাদের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান করছেন।
এবারের ইজতেমা ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শুরায়ী নেজামের অধীনে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।
প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করবে গাজীপুর, টঙ্গী, ধামরাই, গাইবান্ধা, মিরপুর, কাকরাইল, নাটোর, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, দোহার, ডেমরা, কাকরাইল, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নবাবগঞ্জ, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা, শেরপুর, ফরিদপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পিরোজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, রাজবাড়ী জেলা। এই ধাপে ঢাকার একাংশসহ মোট ৪১টি জেলা অংশগ্রহণ করছে।
দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করছে ঢাকার একাংশসহ ৪১টি জেলার তাবলীগের সাথীরা।
এদিকে, তৃতীয় পর্ব শুরু হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এতে অংশ নেবেন মাওলানা সাদ অনুসারীরা। শেষ ধাপ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলা মামলার আসামি হিসেবে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসময় তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শারমিন নাহার এ আদেশ দেন।
মেহেরপুর জেলা কারাগার থেকে আজ সকালে আসামি হিসেবে ফরহাদ হোসেন ও তার ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলকে আদালতে নেওয়া হয়। মামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবু সালেহ মোহাম্মদ নাছিম আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে আদালতে তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে মেহেরপুর জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেন দেন।
এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে প্রিজনভ্যানে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে আনা হয়। ফরহাদ হোসেন দোদুলকে মেহেরপুরে আনার খবরে এলাকার অনেক উৎসুক মানুষ সড়কে বেরিয়ে আসে। জেলা কারাগারের সামনেও কিছু মানুষ ভিড় করেন। এর আগে থেকেই গোটা শহর এবং কারাগার এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন ছিল।
৫ আগস্ট মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলার ঘটনায় সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলার প্রধান আসামি হিসেবে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে গতকাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মেহেরপুরে নিয়ে আসে জেলা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর আত্মগোপন করেন ফরহাদ হোসেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে হত্যা মামলায় তাকে আটক করেছিল র্যাব। তার নামে রাজধানী ঢাকাতে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও মেহেরপুরে রয়েছে আরও কয়েকটি মামলা।
রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশন নির্বাচন বাতিল ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের নির্বাচন থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে তারা অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছে।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা বার এসোসিয়েশনের ১ নম্বর ভবনের সামনে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডঃ অশোক কুমার সাহার কাছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর আওয়ামীপন্থী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে বহিষ্কার ও নির্বাচন বাতিল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহবান জানান। এ নির্বাচন বাতিল না করা হলে বার এসোসিয়েশনসহ আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হবে বলে জানান তারা।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা রাজবাড়ী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও বার এসোসিয়েশন নির্বাচনের বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের প্যানেলের সেক্রেটারী প্রার্থী এডঃ আব্দুর রাজ্জাক-২ এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে বার এসোসিয়েশনের নির্বাচন থেকে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের বহিষ্কার করে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানান।
এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় আসামি হওয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দোসররা হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ায় তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডঃ আব্দুর রাজ্জাক-২ বলেন, এ নির্বাচন বাতিল করা এখন আমার কোন এখতিয়ার নাই। তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমাদের আর কোন কমিটি নেই। সবকিছুই এখন নির্বাচন কমিশনারের হাতে। নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন তিনজন। তারা এখন এর সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মিরাজুল মাজিদ তূর্য্য, মীর মাহমুদ সুজন, এইচ এম হাসিবুল ইসলাম, সাইদুজ্জামামন সাকিব, রাজিব মোল্লা, আমিরুল, মাহাদি রাকিবুল ইসলাম, মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, শান্ত, সাব্বির, আফরিন লিমা, ইমন, সুমন মন্ডল, রাশেদুল ও আব্দুল্লাহসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বার এসোসিয়েশন নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডঃ অশোক কুমার সাহা বলেন, আমাদের সদস্য যারা তারা সবাই বারের আইনজীবী। এখানে সমন্বয় পরিষদ ও ঐক্যজোটের প্যানেল রয়েছে। বারের নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী কোন প্রার্থী বা প্যানেল নাই। আওয়ামীপন্থী বলতেও কেউ নাই বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের কথা শুনলাম। তাদের দাবি দাওয়া সম্পর্কে আমরা নির্বাচন কমিশনার বসে আলোচনা করবো।
ঢাকার বাতাসের মান আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) “খুবই অস্বাস্থ্যকর” অবস্থানে রয়েছে। ২৬৭ স্কোর নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় আজও বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। তার স্কোর হলো ৩৩৩।
এর আগে, বুধবার ২৯২ স্কোর নিয়ে তালিকার চতুর্থ অবস্থানে ছিল ঢাকা। চীনের চেঙডু শহর ৫৩৬ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে ছিল। গত ২৪ ঘণ্টার চেঙডু তার স্কোর ১৬৮ তে নামিয়ে এনে আজ তালিকার নবম স্থানে রয়েছে। আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
১৯৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উগান্ডার কামপালা শহর। ১৮৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইরানের রাজধানী তেহরান।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩) ।