লোহাগাড়ায় নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক নিজাম আহমেদ
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক, ডেইলি অবজারভারের বিজনেস এডিটর নিজাম আহমেদকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব চুনতি সুফি মিয়াজিপাড়া ইদগাহ মাঠে জানাজা নামাজের পর দাফন করা হয়েছে। তাঁর জানাজায় অংশ নিতে হাজারো মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। স্থানীয় কবরস্থানে তাঁকে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয়।
তাঁর ইন্তেকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি এবং শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত ও ক্লাবের সিনিয়র সদস্য সামশুল হক হায়দরী যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, নিজামউদ্দিন আহমদ ছিলেন পেশাদার সৎ সাংবাদিক এবং বর্তমানের আধুনিক চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্যতম রূপকার।
অত্যন্ত বন্ধু বৎসল, সাহসী ও সতীর্থদের প্রতি সহমর্মিতাসম্পন্ন নিজামউদ্দিনের মত সাংবাদিক বর্তমানে বিরল। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্যাতিত একজন মুক্তি সংগ্রামী।
বিবৃতিতে মরহুম সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
এদিকে, নিজাম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) নবনির্বাচিত কমিটি। এক শোকবার্তায় সিইউজের নবনির্বাচিত সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরি ও সবুর শুভ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিজাম আহমেদ একজন অকুতোভয় ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। তিনি তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে সমাজ ও দেশ সমৃদ্ধ করেছেন।
এর আগে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নিজাম আহমেদ।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। নিজাম উদ্দিন আহমেদ পেটের রক্তনালী সংক্রান্ত রোগে ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি নিউ নেশন, রয়টার্স, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ডেইলি অবজারভারসহ বিভিন্ন পত্রিকা এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রায় ৪৫ বছর সাংবাদিকতা করেছেন। নিজাম উদ্দিন আহমেদ ঢাকা ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য।