শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ, সেই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবির/ছবি: সংগৃহীত

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবির/ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলা বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবিরের (৬০) বিরুদ্ধে রাষ্টদ্রোহ মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবারর (৮ অক্টোবর) বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (এসআই) শামীম আহম্মেদ বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুর হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাহাঙ্গীর কবির জেল হাজতে থাকায় এ মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী মো. শামীম আহম্মেদ অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর কবিরের ফোনালাপের অডিওটি যড়যন্ত্রের অংশ। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করার জন্য বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে ১০ আগস্ট বরগুনা শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয়। সেই মিছিল–সমাবেশ থেকে নেতা–কর্মীরা জাহাঙ্গীর কবিরের বাসায় যান। পাল্টা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার হুমকি দেন প্রকাশ্যে। সেই যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ১২ আগস্ট ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর কবিরের কথা হয়। এই ঘটনা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, জাহাঙ্গীর কবির পৃথক দুটি চাঁদাবাজি মামলায় বরগুনা জেলা কারাগারে আছেন। এ মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। পরবর্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। এরপর তার সঙ্গে জাহাঙ্গীর কবিরের ফোনালাপের অডিও গত ১২ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি দল, বরগুনা সদর থানার পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর কবিরকে আটক করে।