নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক করে কাজ-কাম শুরু করেন: দুদু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ গত তিনটা নির্বাচনে ভোট দিতে পারে নাই। ভোট দেওয়ার আশায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় ফ্যাসিবাদ হাসিনাকে বিদায় করেছে তারা। তাই কবে কোন দিন নির্বাচন দিবেন দিন তারিখ ঠিক করে কাজ-কাম শুরু করেন। তাহলে একটা ফলাফল পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন ,যদি না বলেন (দিন তারিখের কথা) তাহলে দেশের মানুষের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি হবে। সেটা কারো জন্যই ভালো হবে না। দেশের জন্য, সরকারের জন্য, দেশের মানুষের জন্য।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে সীমান্তে হত্যা বন্ধ, ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচারের দাবি এবং পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছেন তাদের হাতে বেশি সময় আছে বলে আমার মনে হয় না। যারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছে তারা বাদে আমি, আমার দল, আমার নেতা এবং এদেশে ছোট বড় যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে তারা সমর্থন দিয়েছে এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, আইন-শৃঙ্খলা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। ভোট এবং ভাতের অধিকারের প্রতিষ্ঠা হবে এই স্বপ্ন নিয়ে এদেশের জনগণ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে পরাজিত করেছে। ভাত এবং ভোটের অধিকার এদেশের মানুষের জন্মগত অধিকার।

তিনি বলেন, যারা নির্বিচারে ছাত্র, শ্রমিক, মেহনতি মানুষদেরকে হত্যা করেছে সেইসব হত্যাকারীদেরকে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই সরকার জাতিকে আশ্বাস দিয়েছিল। বিচার করবে।

শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারে এত বড় বড় চোর হবে এটা কেউ বিশ্বাস করেনি মন্তব্য করে কৃষকদলের সাবেক এই আহবায়ক বলেন, যাকে জাতির পিতা দাবি করা হয়। তার পরিবারে এত বড় বড় চোর তৈরি হবে এটা দেশের মানুষ আশা করে নাই। তার (শেখ মুজিবুর রহমানের) দুটি কন্যা সন্তান বেঁচে আছে। এই দুই পরিবারের একটা সন্তান নাই যারা টাকা চুরি করে নাই। সেই টাকা ভারত অস্ট্রেলিয়া লন্ডন সহ এমন কোনো জায়গা নাই যে পাচার করে নাই। সেই টাকা ফেরত আনতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাছারকৃত টাকা ফেরত আনার কাজ শুরু করেন। যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার কাজ শুরু করেন। আপনারা শুরু করেন বাকি কাজ পরবর্তী সময় যারা নির্বাচিত সরকার আসবে তারা শেষ করবে। কথায় আছে সময়ে ১ ফর অসময়ে ১০ ফর। সময়ের কাজ সময় করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ডক্টর ইউনুস অত্যন্ত বিচক্ষণ লোক। দেশে-বিদেশে তার অনেক প্রশংসা আছে। দেশের কাজ তিনি যে হাতে পেয়েছেন আমি বিশ্বাসী তিনি এটা শেষ করতে পারবেন। এইজন্যে আমরা ওনাকে সমর্থন করেছি। কিন্তু কোন জিনিস অনন্তকাল পর্যন্ত চলতে পারে না। তার একটা সময় সীমা আছে। নির্দিষ্ট গণ্ডি আছে তার মধ্যে শেষ করতে হবে। যদি শেষ করতে না পারেন তাহলে এদেশের জনগণ গত ১৬ বছর ধরে ভাত ভোট এবং গণতন্ত্রের জন্য যে আন্দোলন চালিয়েছে সেটা চলতে থাকবে।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রেসিডেন্ট লায়ন ফারুক রহমান, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রদান, সাবেক এমপি জ্যোতি, কৃষক দল নেতা এস কে সাদী সহ প্রমুখ।