আওয়ামী লীগের কোনো সন্ত্রাসী দলে ঢুকতে পারবে না: রিজভী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কোনো সন্ত্রাসী দলে ঢুকতে পারবে না: রিজভী

আওয়ামী লীগের কোনো সন্ত্রাসী দলে ঢুকতে পারবে না: রিজভী

আওয়ামী লীগের কোনো সন্ত্রাসী দলের মধ্যে ঢুকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জাপানের রূহের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে কিভাবে বিএনপির মধ্যে ঢুকা যায়। তাদের অস্তিত্ব কিভাবে রক্ষা করা যায়। এই জন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কোনো ঘাতক, আওয়ামী লীগের কোন সন্ত্রাসী দলের মধ্যে ঢুকতে পারবে না। নতুন করে দলের মধ্যে আসতে পারবে না। ১৫ থেকে ১৬ বছরের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে, অপরাধীদের বিচার হতে হবে।

শেখ হাসিনা ভুলে গেছেন ডাকাত-খুনিরা বিপদের সময় আগায় না উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, এই কথা যদি জানতেন তাহলে এতো খুন তিনি করতেন না। এই বোধ, শিক্ষা শেখ হাসিনার কখনো ছিল না। কারণ তার আচরণই সন্ত্রাসী ধরণের। যারা এগিয়ে আসে তারা আদর্শবাদী মানুষ।

বিজ্ঞাপন

রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করা হয়েছে। সংস্কারের কথা মেনে নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু সেটা যদি দীর্ঘদিন হয়, গণতন্ত্রে ফেরার ব্যাপারটি যদি অনিশ্চিত হয় তাহলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করেছি বটে কিন্তু গণতন্ত্র তো আসেনি।

ভারতের সঙ্গে হওয়া সকল চুক্তি প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী সরকারের সঙ্গে যত চুক্তি হয়েছে সরকার কেন প্রকাশ করছে না? তা প্রকাশ করুক। আমরা ছিটেফোঁটা যা জানতে পারছি সেটা অত্যন্ত ভয়ংকর, বিপদজনক। আদানির সঙ্গের চুক্তি কোন স্বাধীন দেশের স্বাধীন সরকার করতে পারে না। ভারতের একটি প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে রাষ্ট্র কি করে চুক্তি করে? প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম আদানি নেয় ১২ টাকা, বাংলাদেশে যেটা উৎপাদন হয় সেটা আরও কম।

বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে দেয়া গতকালের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যখ্যা করে তিনি বলেন, গণভবনে প্রবেশ করতেই বড় বল রুমে সব রাষ্ট্রপতির ছবি টাঙানো আছে। আমি ভেবেছি সেখান থেকে ছবি নামানো হয়েছে। কিন্তু এটা ছিলো শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ আইনের মাধ্যমে সকল সরকারি অফিস আদালতে বাধ্যতামূলক টাঙানোর যে ছবি, সেটি। এটি তো ফ্যাসিবাদী আইন। ফ্যাসিবাদের আইন আমরা মানবো না। অফিস আদালত যেখানেই আছে, সেখানেই আমরা প্রতিহত করবো।