রাজনীতির গুণগত উত্তরণ ছাড়া পুঁথিগত সংস্কার অকার্যকর: তারেক রহমান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতির গুণগত উত্তরণ ছাড়া পুঁথিগত সংস্কার অকার্যকর: তারেক রহমান

রাজনীতির গুণগত উত্তরণ ছাড়া পুঁথিগত সংস্কার অকার্যকর: তারেক রহমান

গণতান্ত্রিক রাজনীতির গুণগত উত্তরণ ছাড়া পুঁথিগত সংস্কার অনেকটাই অকার্যকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব আঙ্গিনায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সরকারে কিংবা সরকারের বাহিরে আমাদের সবার মনে রাখা দরকার, গণতান্ত্রিক রাজনীতির গুণগত উত্তরণ ছাড়া পুঁথিগত সংস্কার অনেকটাই অকার্যকর। সংস্কারকে কার্যকর করতে চাইলে সবার আগে জনগণের নিত্যদিনের দুর্দশা লাঘব করা দরকার। জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিশ্চিত করা না গেলে সংস্কার কার্যক্রমের কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাবে না। 

তারেক রহমান বলেন, সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোন বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে যারা এই ধরণের প্রশ্ন তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু ভিন্ন। বিএনপি মনে করে সংস্কার কার্যক্রম শেষ হবার বিষয় নয়, একজন শুরু করলে আরেকজন প্রয়োজনীয় সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যায়। কারণ সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একটি নির্বাচনের জন্যই যেমন গণঅভ্যুত্থান হয়নি এটা যেমন একটি বাস্তবতা তেমনি আরেকটি নির্মম বাস্তবতা ছিল জনগণকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাহীন রেখে নির্বাচন ছাড়াই বার বার সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তাই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন অবশ্যই একটি মুখ্য বিষয়।

পলাতক স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা যেন রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত না হতে পারে সেজন্য পদক্ষেপ নেয়াও আমাদের দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেজন্য একদিকে আদালত ও অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে জনগণের মুখোমুখি করে ছুড়ে ফেলতে হবে। তাদের অপ্রাসঙ্গিক করে দিতে হলে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায় প্রয়োজন। ভোটের অধিকার ফিরে পেলেই জনগণ তাদের অধিকার প্রয়োগ করে গণহত্যাকারী, খুনি, লুটেরা স্বৈরাচারী ও তাদের অপ্রাসঙ্গিক করে দিতে সক্ষম হবে। এই কারণেই বিএনপি মনে করে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই প্রয়োজন।

আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাধাগ্রস্ত করতে ইতোমধ্যে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। অপশক্তি দেশের ভিতরে ও বাহিরে থেকে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির চেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে ঐক্যবদ্ধ থাকলে সেটা সম্ভব হবেনা বলেও যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্ম দেখিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসাথে যায় না, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র শত্রু।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, কবি আব্দুল হাই শিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।