গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই: আমির খসরু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। সেই প্রেক্ষিতে তাদের (রাজনীতিবিদ) আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ সঠিক পথে চালাতে হবে। সেটাই গণতন্ত্র, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিজয় র‍্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

বিজ্ঞাপন

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী দিনের সংস্কারের কথা যদি বলা হয়, আমরা যে ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। প্রতিজ্ঞা করেছি, বিএনপিসহ প্রায় ৫০টি দলের ঐক্যমতে আমাদের ৩১ দফার সংস্কার পরিপূর্ণভাবে পালন করব।

তিনি বলেন, এখন কি সংস্কার হবে, না হবে আমরা সেটার সহযোগিতা করতে রাজি আছি। এটা যাদের কাজ, সেটা হচ্ছে আগামী সংসদের কাজ। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের কাজ। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, যেভাবে বিগত দিনে নিয়েছে। বিগত দিনের রাজনীতিবিদরা যেহেতু সফল হয়নি, তার জন্য রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এবং রাজনীতিবিদরা তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ সঠিক পথে চালাবে। সেটাই গণতন্ত্র, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

মহান বিজয়ের জন্য চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের এই দিনে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেশি। বিপ্লব উদ্যান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। প্রধান এবং প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। চট্টগ্রাম রেডিও স্টেশন থেকে প্রথম জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। আজকের স্বাধীনতা পাওয়ার পেছনে যুদ্ধের যে প্রেরণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের যে প্রেরণা, সেটা চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছে এবং এ অঞ্চল থেকে শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় গর্বের।

স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। অথচ স্বাধীনতার পর যখন বাকশাল হয়, এই বাকশালের মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলকে মুখ বন্ধ ঘোষণা করে দেয়, সমস্ত সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রিত করে এবং মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের লক্ষ মানুষের উপর গুম, খুন, নিপীড়ন, নির্যাতন চালানো হয়। সেখান থেকে আবারো মুক্ত করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

সংস্কারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই যে সংস্কারের কথা বলছে, প্রথম সংস্কার করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। প্রথম সংস্কারটা হলো, একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র। এটি ছিল, প্রথম সংস্কার বাংলাদেশের। সংস্কার সংস্কার যারা বলে তারা এগুলো বুঝে নাই, চিন্তা করে নাই। দ্বিতীয় সংস্কার হলো সরকার চালিত অর্থনীতি। যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বাকশালরা লুটপাট করে দেশের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। সেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তৃতীয় সংস্কার করেছিলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির মাধ্যমে।

সেই মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে সমস্ত বাংলাদেশিদের অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের সমান অধিকার পেয়েছিল। এজন্য শ্রমিক, কিশোর, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী সকলে মিলে আরেকটি নতুন বাংলাদেশ গড়েছিল সেদিন। সেই সংস্কারের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আজকের যে গার্মেন্টস শিল্প অর্থনীতিতে প্রথম অবদান রাখছে। সেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্প নীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রথম পিলার প্রথম শক্তি। বিদেশে মানুষ পাঠিয়ে যে রেমিটেন্স আজ বাংলাদেশে আসছে, দেশের মানুষ বাইরে গিয়ে কাজ করছে, সেটার অবদান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের, যোগ করেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, আরও সংস্কার বাংলাদেশের স্বৈরাচারের পতনের পরে সংসদীয় গণতন্ত্রকে প্রবর্তন করেছিল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমস্ত সংস্কারের মাধ্যমে আজকে যে অর্থনীতি বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছে, এটা হচ্ছে বিএনপির অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে। আজও বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে।