আইডিইবিতে অনুমতি না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাপার আলোচনা সভা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আইডিইবিতে অনুমতি না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাপার আলোচনা সভা

আইডিইবিতে অনুমতি না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাপার আলোচনা সভা

ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আলোচনা সভার অনুমতি না পাওয়ায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের (কাকরাইল) সামনে আলোচনা সভা করছে জাতীয় পার্টি। দলটির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আহ্বান করা হয়।

বুধবার (১ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল দলটি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি না পেয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও এরশাদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় পার্টির রাজনীতি অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। পার্টির চেয়ারম্যানসহ সিনিয়র নেতা অনেকের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কারো কারো বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থান দমন হত্যাকাণ্ডের একাধিক হত্যা মামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় (বনানী) ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় হামলা ও ভাঙচুরের শিকার হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। জিএম কাদের ও জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর ঘোষণা দিয়ে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির ঘোষণার পর সারজিস আলম রংপুরে গেলে লাঠি ও ঝাড়ু মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়। এরপর থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

বিজ্ঞাপন

১৭ অক্টোবর জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের সভায় জিএম কাদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীরা রক্ত দিয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে এর প্রতিবাদ করা হবে। আমরা রাজপথে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ করবো। ওই সভাতেই ২ নভেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। জাতীয় পার্টি যখন ২ নভেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ২৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে কাকরাইল পাইওনিয়ার রোডে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে আট-দশজনের একটি টিম এসে হুমকি-ধামকি দিয়ে যায়। তারা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সামনে থাকা কয়েকটি ব্যানারে আগুন নিয়ে চলে যায়। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় জাপা কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর আর মাঠে কোন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় নি জাপাকে। বক্তৃতা বিবৃতি এবং কার্যালয়ের অভ্যন্তরে সভা-সেমিনারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে দলটির কর্মসূচি।