অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিনিসপত্রের দাম এখন এমন ভাবে বাড়ছে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব দয়া করে ওদিকে নজর দিন। সুশাসনের দিকে নজর দিন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে এ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্বের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা নির্বাচন কেন চাইছি! কারণ একটি নির্বাচিত সরকার ছাড়া ম্যান্ডেড পাওয়া যায় না। সংস্কার করতে হলেও পার্লামেন্ট লাগবে। নির্বাচন যত দ্রুত হবে দেশের সংকট তত দ্রুত কাটবে। রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সংস্কার তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। আমরা সংস্কার শুরু করেছিলাম আরও দুই বছর আগে। গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলে ৩১ দফা দিয়েছি। এখানে সব কিছু রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। নির্মম ইতিহাস তাদের নেতার (শেখ মুজিব) ছবি মূর্তি যেখানে ছিল বাংলাদেশের মানুষ তা মুছে ফেলেছে। আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম সবার সামনে ভেসে আসছে। কেন কারণ হচ্ছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে চলে গিয়েছে। আমরা সব সময় বলি তাকে যতই মুছে দিতে চাও পারবে না, কারণ তার নাম মানুষের অন্তরে রয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় বলি জিয়ার সৈনিক; জিয়াউর রহমানের সৈনিক তখনই হতে পারব যখন আমরা তাকে অনুসরণ করতে পারব। তার যে কর্মজীবন, তার যে রাজনৈতিক চিন্তা সেটা যখন আমরা বাস্তবায়িত করতে পারব। সেটাই হবে তার সৈনিক হওয়ার উপযুক্ত কাজ। তার সবচেয়ে বড় জিনিস ছিল সততা, নিয়মানুবর্তিতা এবং কাজের প্রতি আন্তরিকতা আর দূরদৃষ্টি। সবগুলো মিলিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে।
তিনি বলেন, একটি কথাই বলতে চাই জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করলে আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারবো। তিনি যখন রাজনৈতিক দায়িত্বে ছিলেন চিন্তা করেছেন বাংলাদেশকে পরিবর্তন করতে হলে জনগণের অংশগ্রহণ খুবই প্রয়োজন। আমাদের দায়িত্ব হবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে সততা সেই সততাকে যেন আমরা রক্ষা করি। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য সবাই সামনের দিকে এগিয়ে যাই।
নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষের কাছে যেতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় যেন সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে। আমরা যেন আমাদের রাজনীতি দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারি।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান, ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন দলটি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবদল, কৃষকদলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা এ আলোচনা সভায় যোগ দেন।