'জিয়াউর রহমান মানুষের মনে আশার সঞ্চার সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন'
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মার্চে জিয়াউর রহমান মানুষের মনে আশার সঞ্চার সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পিজি হাসপাতালের শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৮৯-তম জন্মদিন উপলক্ষে 'যার গল্প আমাদের দর্শন' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার সহধর্মিণী ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার জুবাইদা রহমান।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান একমাত্র সেনানয়ক যার নেতৃত্বে যুদ্ধকালে বহু এলাকায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রশাসন গড়ে উঠেছিলো রৌমারি, চিলমারি অঞ্চল নিয়ে। সেখানে আদালত ছিলো, বেসামরিক প্রশাসন ছিলো, জেলখানা, থানা ছিলো, সেখানে শুল্ক আদায় করা হয়েছে, সেখান থেকে একটা অংশ কলকাতার অস্থায়ী সরকারের কাছে জমা দেয়া হত।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা, বাসস্থান মৌলিক ৫ প্রয়োজনকে জিয়াউর রহমান তার ১৯ দফায় এনেছেন। স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন করেছেন। বিনামূল্যে গভীর নলকুপের ব্যবস্থা করেছেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করেছেন। একটার জায়গায় দুইটা ফসল, দুইটার জায়গায় তিনটা ফসল।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, তিনিই (জিয়াউর রহমান) প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান যিনি গঙ্গার পানির চুক্তির বিষয়ের ভারতের অবহেলায় জাতিসংঘে উপস্থাপন করেছিলেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দাড় করাতে চেয়েছিলেন। ১ কোটি মানুষের গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করেছিলেন। তাদের মধ্যে ৩০ লাখ নারী ছিলেন।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছেন ১৯৭১ সালের মার্চে। তারপর তিনি তার পেশায় ফিরে গেছেন, পেশাদার সেনাকর্মকর্তা হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। আবারও যখন জাতীর জীবনে দুর্যোগ সময় আসলো ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর, তিনি আবারও বলেছিলেন, আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি। তিনি দায়িত্ব নেননি৷ তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেদিন কোন কিছু ছিলো না, একদিন বয়েসি একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন। কেউ কোন দিকে কোন আশা দেখছে না সেরকম একটা সময়ে সেনানিবাসের ভিতরে জাসদের নেতাকর্মীরা সেনাকর্মকর্তদাদের হত্যা করছে সে রকম সময়ে দায়িত্ব গ্রহণের যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা শুধু একজন মানুষের ছিলো, তিনি জিয়াউর রহমান।