দিল্লির আগ্ৰাসনের বিরুদ্ধে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদ ও দিল্লির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আগ্ৰাসন বিরোধী শিক্ষার্থীদের ।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে এগারোটায় দিকে ঢাবির ভিসি চত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

বিজ্ঞাপন

আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী এম এ সাইদ বলেন, ভারতের জনগন ও ভারতের বিএসএফ বাহিনী যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ন্যাক্কারজনক। তারা হাত বোমা নিক্ষেপ করে ৫ জনকে আহত করেছে এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

আপনার প্রেয়সীকে এদেশ থেকে তাড়ানোর কারণে আপনার যদি মন খারাপ হয় সেটা আপনি আমার জনগণের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারেন না। আপনি আসক্ত হতে পারেন, আমরা আপনার প্রেয়সীর প্রেমে আসক্ত নই।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমাদের সার্বভৌম বাংলার প্রতি ভারত যদি আঙুল উঁচু করে আমরা সেই আঙুল ভেঙে দিবো।পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র হিসেবে যতটুকু সম্পর্ক বজায় রাখা দরকার ঠিক ততটুকু বজায় রাখবো। ভারতের আগ্ৰাসন ,আধিপত্য বাংলাদেশ চায় না।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান আহমেদ সিফাত বলেন , ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বিরুদ্ধে কৃষক অস্ত নিয়ে দাঁড়িয়েছিল, এখন ভারতের বিরুদ্ধে কাস্তে নিয়ে দাঁড়িয়েছে ।এক ইঞ্চি মাটি ভারতের কোন আগ্ৰাসনের থাবা পড়তে দিবো না ।

তিনি আরও বলেন, পতিত স্বৈরাচারীকে তারা আশ্রয় দিয়েছে। শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই হতে হবে।

মোঃ হাসিবুল ইসলাম বলেন, এখন কোন দিল্লির প্রেসক্রিপশনের সরকার বাংলাদেশে নেই । এখন বাংলাদেশে ছাত্রজনতার সরকার রয়েছে। বিজিবিসহ পুরো বাংলাদেশের জনগণ জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

দিল্লির যে আচরণ করছে এতে তারা বন্ধু রাষ্ট্র হতে পারে না । যখন তারা সিমান্তে আমার বোনকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে, পানির ন্যায্য হিস্যা দেয় না তখনই প্রমাণ হয়ে গেছে দিল্লি কখনো ঢাকার বন্ধু রাষ্ট্র ছিল না। মুখে বন্ধুত্বের কথা বলে তারা আগ্ৰাসন চালিয়ে যান।

সিমান্তে গুলি ছুড়া হলে বাংলার জনগণ অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। অতি দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসেন অন্যথায় আপনাদের আগ্ৰাসনের জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, অতি দ্রুত খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে। আওয়ামী আমলে ভারতের সাথে যত অসম চুক্তি হয়েছে সেগুলো বাতিল করতে হবে।