তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রাণিসম্পদ ডিজিকে সংবর্ধনা প্রদান বাকৃবির

  • বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজিকে সংবর্ধনা প্রদান বাকৃবির/ছবি: সংগৃহীত

ডিজিকে সংবর্ধনা প্রদান বাকৃবির/ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের পক্ষ থেকে তিনটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে (ডিজি) সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্সে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন।

এসময় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানকে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে ভূমিকা রাখার জন্য সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনাপ্রাপ্ত সকলেই বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ১৯৯৪ সালে বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে কৃতিত্বের সাথে ডিভিএম ও ১৯৯৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম স্থান অর্জনসহ চ্যান্সেলর স্বর্নপদক লাভ করে মাস্টার অব সাইন্স ইন ফার্মাকোলজি ডিগ্রি অর্জন করেন। অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ১৯৮৩ সালে বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদ হতে ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তাঁর ব্যাচে পঞ্চম স্থান অর্জন করেন। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে ১৯৯৯ সালে ডিভিএম ডিগ্রী অর্জন করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যানাটমি এবং হিস্টলজি থেকে ২০০১ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান ১৯৯৫ সালে বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে প্রথম শ্রেণীতে তৃতীয় হয়ে ডিভিএম ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ সার্জারি এন্ড অবস্ট্রেটট্রিকস থেকে ১৯৯৯ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, সত্যবাদিতা, দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে উপাচার্যের দায়িত্ব কঠিন কিছু নয়। দেশের সকল ভেটেরিনারিয়ানদের লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের মানুষের সেবা করা। বিশেষ করে দেশের কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করা উচিত। এই লক্ষ্য পূরণে কোয়ালিটি গ্রাজুয়েট তৈরির বিকল্প নেই। তাই কোয়ালিটি গ্রাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে জাতির সেবায় উপাচার্যদের এগিয়ে আসা উচিত।

অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, ভেটেরিনারি অনুষদ শুরু থেকেই দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন, রোগ প্রতিরোধ এবং টেকসই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে গবেষণা ও শিক্ষার মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। আধুনিক গবেষণাগার, কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি, এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় এই অনুষদ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই চারজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী দেশের তিনটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এটি শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে ভেটেরিনারি অনুষদের ঐতিহ্য এবং অবদানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।