সুইস রাষ্ট্রদূতের সাথে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিজ রেটো রেঙ্গলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে তারা এ সাক্ষাৎ করেন।

বিজ্ঞাপন

দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত নেতা ব্যারিস্টার-নাসরিন সুলতানা মিলি, আইন-সংবিধান ও সংসদ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। দূতাবাসের সিনিয়র রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রেস অফিসার খালেদ চৌধুরীও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এবি পার্টি প্রাথমিকভাবে ২০২০ সালে দলের গঠন, সাংগঠনিক কাঠামো, দেশব্যাপী শক্তি, নির্বাচনী সম্ভাবনা এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের রাজনীতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত রেঙ্গলিকে অবহিত করে। নেতৃবৃন্দ বিগত বছরগুলিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন এবং বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় তাদের ভূমিকা সম্পর্কেও অবহিত করে।

বিজ্ঞাপন

এবি পার্টি মনে করে যে, গতানুগতিক ধারার দুর্নীতি নির্ভর বংশানুক্রমিক রাজনীতি এবং নেতৃত্বের অতীতমুখীতা সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সক্ষম হবে না। সেবার রাজনীতি, জনগণের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধান এবং গবেষণার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়নই হলো ভবিষ্যত অগ্রগতির চাবিকাঠি। ১৯৭১ সালের আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান উভয়ই আমাদের জাতীয় সংগ্রামের অংশ, তবে জাতি গঠন এবং ভঙ্গুর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কারের চ্যালেঞ্জগুলি আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

এবি পার্টি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, গণতান্ত্রিক রূপান্তর, বহুল আলোচিত সংস্কার, সম্প্রতি প্রকাশিত কমিশন সমূহের প্রতিবেদন এবং জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচী সম্পর্কে তাদের অবস্থান ব্যখ্যা করেছে। গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভিকটিমদের জন্য ন্যায়বিচার কেন এত গুরুত্বপূর্ণ তাও তারা তাদের আলোচনায় তুলে ধরেছেন।

এবি পার্টি সুইজারল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের ৫২ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক কারণে অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেছে। এবি পার্টি মনে করে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের উন্নত ট্রেন নেটওয়ার্ক পুনর্গঠন, গণপরিবহন আধুনিকীকরণ এবং গুরুত্বপূর্ণ আইটি খাতগুলিতে সহায়তা করতে পারে।