ব্যাটিং উইকেটে সমস্যা নেই, সমস্যা শুধু বোলিং উইকেটে?

  • নেয়ামত উল্লাহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

মিরপুরে সবশেষ টেস্টে প্রথম দিনে বোলারদের ঝুলিতে গিয়েছিল ১৫ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই টেস্টে শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়েছিল। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম দিনে উইকেট গেল ১৬টি।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এমন উইকেটে টেস্ট কি খেলার সৌন্দর্য নষ্ট করে দিচ্ছে কি না, তার জবাবে সংবাদ সম্মেলনে আসা দুই ‘বোলার’ কাগিসো রাবাদা আর তাইজুল ইসলাম, দুজনেই কথা বললেন একই সুরে। যা বললেন তার সারমর্ম, ‘অন্যরা যে করে, তার বেলা?’

ম্যাচ শুরুর আগেই কথা হচ্ছিল এই উইকেটের স্পিনবান্ধব চরিত্র নিয়ে। তবে প্রথম দিনের শুরুর দুই ঘণ্টায় দৃশ্যটা বদলে গেল। বাংলাদেশের প্রথম ৫ উইকেট নিলেন পেসাররা। শুধু কি তাই? দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসে শুরুর আঘাত দিয়েছেন যিনি, সেই হাসান মাহমুদও তো একজন পেসারই!

বিজ্ঞাপন

দিনে গেল ১৬ উইকেট, স্পিনারদের সঙ্গে পাল্লা দিলেন পেসারও। রান উঠল ওভারপ্রতি ৩ এরও কম। এমন উইকেট টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্যহানি ঘটায় কি না, প্রশ্ন ধেয়ে গিয়েছিল রাবাদার কাছে। জবাবে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, বোলাররা ভালো করলেই সৌন্দর্য নষ্ট নয়, ব্যাটিং পিচ বানিয়ে রাখলে… তখন?’

তবে এরপরই ‘সিরিয়াস’ মুডে ফেরত এলেন, যেমনটা মাঠে ছিলেন রাবাদা, ‘টেস্ট ক্রিকেটে ব্যালেন্স থাকা উচিত। ব্যাট আর বলের ন্যায্য একটা প্রতিযোগিতা থাকা উচিত। এ ধরনের উইকেটই আপনি চান। এক দিনে ১৬ উইকেট খুইয়ে বসলে আপনাকে বলতেই হবে এটা বোলারদের সহায়তা দিচ্ছে।’

একই প্রশ্নের মুখে তাইজুলও পড়েছিলেন। তার জবাবটা কাছাকাছি সুরের, তবে একটু ভিন্নতা থাকল। বললেন, ‘আমাদের সময় আসলেই সৌন্দর্য নষ্ট হয়। বিশ্বে আর সবাই করলে সমস্যা হয় না। সুবিধা সবাই নিতে চাইবে।’

তিনি অবশ্য ‘সিরিয়াস’ হয়ে দোষ দেখলেন ব্যাটারদের। তার ভাষ্য, ‘একটা দল খারাপ খেললে (ব্যাট-বলের) ন্যায্য প্রতিযোগিতা কোনোভাবেই হয় না। ভালো উইকেটে হয় না, খারাপ উইকেটেও না। ভালো খেলাটা জরুরি। উইকেটের দোষ দিয়ে লাভ নাই।’

তাইজুল যতই ব্যাটারদের দোষ দিন না কেন, উইকেটের চিরাচরিত অভ্যাস বলছে, রাবাদার কথাই ঠিক। টেস্টের প্রথম দিনেই ব্যাটাররা আছেন ব্যাকফুটে, পরের চার (যদি ততদিন পর্যন্ত গড়ায়) দিনে যে তাদের জন্য ফুলশয্যা অপেক্ষা করছে না, তা আর বলতে!