পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল অস্ট্রেলিয়া

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংগৃহীত

সংগৃহীত

পাকিস্তান অলআউট ১১৭। অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে টপকে গেল সেই স্কোর। তখনো ম্যাচের ৫২ বল বাকি। ক্রিকেটে এমন ম্যাচকে বলে ‘নো কম্পিটিশন ম্যাচ’। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই জিতে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। হোবার্টের শেষ ম্যাচে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ হয় কিনা- সেই অপেক্ষাই ছিল। সেই আশা পুরো হলো অস্ট্রেলিয়ার। টি- টোয়েন্টিতে শূন্য হাতে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরছে পাকিস্তান। সান্তনা একটাই ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২২ বছর পর।

হোবার্টে সিরিজের শেষ টি- টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের শুরুটা হলো চমৎকার। পাওয়ার প্লেতে ৫৮ রানে ১ উইকেট। মনে হচ্ছিল আগের দুই ম্যাচের হারের বদলা নিতে পাকিস্তান এই ম্যাচ বড় স্কোর গড়তে চলেছে। কিন্তু দলটার নাম পাকিস্তান। আপনি ভাববেন এক, তারা মাঠে করে দেখাবে অন্যকিছু!

বিজ্ঞাপন

এই ম্যাচেও তাই হলো। ৬ ওভারে ৫৮ রানে ১ উইকেট থেকে পাকিস্তান ১১৭ রানে অলআউট! কোটার পুরো ওভারও খেলতে পারলো না। ওপেনার বাবর আজমের ব্যাট থেকে এলো দলের সর্বোচ্চ ৪১ রান। ২৮ বলে এই রান করেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। পেসার অ্যারন হার্ডি ২১ রানে ৩ উইকেট পান। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। লেগস্পিনার অ্যাডাম জামপা পান দুই উইকেট। আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়র স্পেনসার জনসন এই ম্যাচেও দুই উইকেট শিকার করেন।

মামুলি টার্গেটের পিছু তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারালেও অস্ট্রেলিয়াকে চটজলদি জয় এনে দেয় মার্কাস স্টয়নিচের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি। সমান ৫ ছক্কা ও বাউন্ডারিতে মাত্র ২৭ বলে অপরাজিত ৬১ রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটের জয় এনে দিলেন স্টয়নিচ।

বিজ্ঞাপন

সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান ১১৭/১০ (১৮.১ ওভারে, বাবর আজম ৪১, হার্ডি ৩/২১, জামপা ২/১১, জনসন ২/২৪)। অস্ট্রেলিয়া ১১৮/৩ (১১.২ ওভারে, স্টয়নিচ ৬১*, ইঙ্গলিস ২৭, জাহানদাদ খান ১/১৭)। ফল: অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: স্টয়নিচ। সিরিজসেরা: স্পেনসার জনসন। সিরিজ ফল: অস্ট্রেলিয়া ৩, পাকিস্তান ০।