হারের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছে না সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঢাকা পর্বে টানা দুই হারের পর নিজেদের মাঠে খেলতে গিয়েও একই দৃশ্যপট। তাদের হারিয়ে আজ বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে জায়গা পোক্ত করল ফরচুন বরিশাল।
আজ মঙ্গলবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাত্র ১২৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। এরপর রান তাড়ায় তাওহীদ হৃদয় ও কাইল মায়ার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বরিশাল ৫৭ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই পা রাখে জয়ের বন্দরে।
বিপিএলের ঢাকা পর্বে রংপুরের রাইডার্সের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করে সিলেট স্ট্রাইকারস। প্রত্যাশা ছিল সিলেট পর্বে নিজেদের মাঠে ঘুরে দাঁড়াবে আরিফুল হকের দল। কিন্তু সমীকরণ মিলছে না। সিলেট পর্বে প্রথম ম্যাচে আবারও রংপুরের কাছে হেরে বসে তারা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে তারা।
জবাবে নেমে প্রথম বলেই তামিম ইকবাল আউট হন কোন রান না করেই। দলীয় ৬ রানের মাথায় নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট তুলে নিয়ে সিলেটকে জয়ের স্বপ্ন দেখান তানজিম হাসান সাকিব। তবে সে স্বপ্ন দীর্ঘায়িত হতে দেননি তৌহিদ হৃদয় ও কাইল মায়ারস। ব্যক্তিগত ৪৮ রান করে সাকিবের বলে হৃদয় আউট হলেও দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৯ রান করে ম্যাচসেরা হন কাইল মায়ারস। সিলেটের হয়ে তানজিম সাকিব নেন ২ উইকেট । বাকি উইকেটটি তুলে নেন রাকিম কর্ণওয়াল।
এর আগে সিলেট অলআউট হয় ১২৫ রান তুলে। সিলেট ইনিংস এভাবে ধসে যাওয়ার কারণ জাহানদাদ খান। পাওয়ারপ্লেতে রনি তালুকদার (০) আর রাহকিম কর্নওয়ালের (১৮) দুই উইকেট খোয়ালেও সিলেট বড় রানের দিকে ছুটছিল জর্জ মানসি আর জাকির হাসানের ব্যাটে চড়ে। তবে ইনিংসের নবম ওভারে মানসি (২৮) আর অ্যারন জোন্সকে (০) ফিরিয়ে ধসটা শুরু করেন পাক এই পেসার।
পরের কাজটা করেন রিশাদ হোসেন। তিনি তার চার ওভারে রান দিয়েছেন মোটে ১৫, উইকেট তুলে নিয়েছেন থিতু ব্যাটার জাকির হাসানসহ তিন জনের। তার ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়েই আর বড় রানের দিশা পায়নি সিলেট।
এক পর্যায়ে সিলেটের ১০০ রান নিয়েই শঙ্কা জেগেছিল। ২৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে ১২৫ রান পর্যন্ত নিয়ে যান আরিফুল ইসলাম। যা আবার ইনিংস সর্বোচ্চ রানও।
বরিশালের হয়ে সবচেয়ে ভালো বোলিং করেছেন রিশাদ। জাহানদাদ তার ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৮ রান, নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া ফাহিম আশরাফ ২, শাহিন শাহ আফ্রিদিরা নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
এ নিয়ে টানা ৩ ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে অবস্থান করছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আর ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে বরিশাল।