লিভারপুল আর আর্সেনাল এক বিন্দুতে মিলে গেল যেখানে
লিভারপুল আর্সেনালের মাঝে অনেক মিল। এবারের প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দুই দল তারা। তবে এ ছাড়াও তাদের মিল আছে আরও একটা। এবারের কারাবাও কাপ তাদের মিলিয়ে দিয়েছে এক বিন্দুতে। দুই দলই সেমিফাইনালে পা রেখেছিল ফেভারিট হিসেবে। শেষমেশ দুই দলই হেরেছে আন্ডারডগদের কাছে। এরপর দুই কোচ যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখালেন, তাতে দুই দল মিলে গেল আরও ভালোভাবে।
আগের দিন নিউক্যাসলের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে আর্সেনাল। এরপর সেমিফাইনালের প্রথম লেগে টটেনহামের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লিভারপুল। টানা ২৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারের মুখ দেখলো আর্নে স্লটের দল।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছে টটেনহাম-লিভারপুল ম্যাচে রেফারির বাজে সিদ্ধান্ত এবং নিউক্যাসল ও আর্সেনাল ম্যাচে ব্যবহৃত বল। লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট খেপেছেন রেফারিং নিয়ে। যে খেলোয়াড়টির লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার কথা, সেই খেলোয়াড়ের গোলে দল হেরে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না এই ডাচ কোচ।
আগেই একবার হলুদ কার্ড দেখা ১৮ বছর বয়সী সুইডিশ মিডফিল্ডার লুকাস বার্জভাল লিভারপুল ডিফেন্ডার কস্তাস সিমিকাসকে স্লাইডিং ট্যাকল করে ফেলে দেন। ফাউলটা মারাত্মকই ছিল, ছিল কার্ড পাওয়ার মতো। ফাউলের শিকার সিমিকাসকে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়। কিন্তু রেফারি স্টুয়ার্ট অ্যাটওয়েল কার্ড না দিয়ে লিভারপুলকে কাউন্টার অ্যাটাক করার সুযোগ করে দেন। আর এতেই সিমিকাসের রেখে যাওয়া ফাঁকা জায়গা কাজে লাগিয়ে টটেনহামের জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটি পেয়ে যান বার্জভাল। এই এক গোলেই ম্যাচ জিতে নেয় টটেনহাম।
ম্যাচ শেষে লিভারপুল কোচ হারার কারণ হিসেবে রেফারিকে দায়ী করে বলেন, ’আজকের ফলাফলের পিছনে ওই সিদ্ধান্তের (কার্ড না দেখানো) বড় ভূমিকা আছে। চতুর্থ রেফারি আমাকে বলেছেন কেন তাঁর কাছে এটাকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানোর মতো ফাইল মনে হয়নি। তিনি সম্ভবত ওই যুক্তি আবার রেফারির কাছ থেকে শুনেছেন। ওই পরিস্থিতিতে যে কোনো কোচই ফ্রিকিকের চেয়ে হলুদ কার্ডই চাইবেন রেফারির কাছে।’
ওদিকে নিউক্যাসলের কাছে হারার কারণ হিসেবে বলকে দুষলেন আর্সেনাল কোচ মাইকেল আর্তেতা। তিনি বলেন, ’গোলবারে আমরা অসংখ্য শট নিয়েছি। আজকের ম্যাচের বলটি আলাদা এবং অনেক বেশি বাতাসে ভাসে। যার কারণে অনেক বল বারের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিত নাইকি থেকে আনা বল পরিবর্তন করা। এই বলে মানিয়ে নেওয়া কঠিন।’
তবে আর্তেতার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছে ইংলিশ লিগ কর্তৃপক্ষ। তারা জানান এই একই বল আরও অনেক জায়গা ব্যবহৃত হয়েছে এবং তারা বলের বিষয়ে আর কারো কোনো অভিযোগ পাননি।
সে যাই হোক, ম্যাচে আন্ডারডগের কাছে হার আর ম্যাচ শেষে দুই দলের উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর প্রবণতা দুই দলকেই এনে মিলিয়েছে এক বিন্দুতে।