শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে (শেকৃবি) র্যাগিং, মাদক, গণরুম এবং সেশনজটমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যায়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে নবীন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক মতবিনিময় সভায় অভিভাবকবৃন্দ র্যাগিং, মাদক, গণরুম এবং সেশনজটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। জবাবে উপাচার্য তাদের উদ্দেশে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সভায় এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে ভার্তি ক্যান্সেল করে শেকৃবিতে ভর্তি হয়েছে শুধু র্যাগিংমুক্ত পরিবেশের প্রত্যাশায়। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এ ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের কালচার নেই, গণরুম তুলে দেওয়া হয়েছে। আশা করি এটা অব্যাহত থাকবে।
আরেক অভিভাবক নিজেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পরিচয় দিয়ে বলেন, আমার মেয়ে ভর্তি পরীক্ষার মেধাক্রমে প্রথম সারিতে স্থান করে নিয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান, শতভাগ আবাসন সুবিধা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় তাঁর প্রথম পছন্দ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সেশনজট কমাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান এই অভিভাবক।
এছাড়াও অন্যান্য অভিভাবকবৃন্দ আবাসিক হলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও জরুরী প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এ মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. এম সালাউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সারা জাতি বিগত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে। তবে সারা দেশের মতো এ বিশ্ববিদ্যালয়ও এখন র্যাগিং মুক্ত। তবে এটা যেন ফিরে না আসে সে জন্য উপাচার্য মহোদয়কে পরামর্শ দিব যেন ‘এন্টি র্যাগিং টিম’ গঠন করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে বলেন, শেকৃবিতে শতভাগ আবাসিক সুবিধা রয়েছে। খাবারের মান আগের চেয়ে ভালো করা হয়েছে। প্রতিটি হলের লাইব্রেরিতে উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। চার বছরের মধ্যে যেন স্নাতক সম্পন্ন হয় সেভাবে আমরা পরিকল্পনা প্রণয়ন করবো। অ্যান্টি র্যাগিং টিম গঠন করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণরূপে র্যাগিং, মাদক, গণরুম ও সেশনজটমুক্ত করা হবে। আমরা আপনাদের প্রত্যাশা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।