চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগ থেকে দীর্ঘ এক যুগ পর নিজ ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দেশের প্রথম চারুকলা ইনস্টিটিউটটি ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর বাদশাহ মিয়া চৌধুরী সড়কে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ৪টি বিভাগে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন।
ইনস্টিটিউটটির শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। কিন্তু নানা অজুহাতে তাদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে প্রশাসন।
কিন্তু আজকে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে বিষয়টি জানান চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান।
চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো আন্দোলনে যেতে না হয়, সেজন্য সকল প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। শিক্ষার্থীদের চাওয়া মানে আমাদেরই চাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
চারুকলার পরবর্তী একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে আমরা থাকবো। ইতিমধ্যে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে চবির কলা ভবনে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে পুনরায় স্থানান্তর করবো। এর আগ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সময় দিন। সর্বোচ্চ ১ এপ্রিলের মধ্যে আপনারা মূল ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন।