কে হচ্ছেন ইয়াহিয়া সিনওয়ারের উত্তরসূরি?

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-10-20 05:15:24

দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ৬১ বছর বয়সী ইয়াহিয়া সিনওয়ার বেশিরভাগ সময় গাজা উপত্যকার নিচে সুড়ঙ্গের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। গত বুধবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফায় একটি ভবনে মাথায় গুলি করে তাকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তার মৃত্যুর পর সংগঠনটির পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবেন তা এখনো অনিশ্চিত।

এ বিষয়ে হামাসের দুই কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, গ্রুপের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার আলোচনা খুব শিগগিরই শুরু হবে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, সংগঠনের সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা ও শক্তিশালী প্রার্থী হিসাবে বিবেচিত হতে পারে সিনওয়ারের ডেপুটি খলিল আল-হাইয়া।

আল-হাইয়া বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। তিনি ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাস প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান, সংযোগ এবং বোঝার অধিকারী তিনি।

তেহরানে প্রাক্তন নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার মাত্র দুই মাস পর হামাস নেতারা সিনওয়ারের উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য আবারও একটা সমাবেশ করবেন বলেও জানান তারা।

হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিনওয়ারকে গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার স্থপতি উল্লেখ করে বলেছেন, তার নিয়োগ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি সাহসী বার্তা ছিল।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকে বিশ্বাস করেন সিনওয়ারের নেতৃত্ব যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বাধা ছিল। তাই গত জুলাই থেকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।

সিনওয়ারকে হত্যা করা সত্ত্বেও, হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি গ্রহণ এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য আন্দোলনের শর্ত পরিবর্তন হয়নি।

হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, শত্রুতার অবসান, মানবিক সাহায্য হস্তান্তর এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠনের দাবি অব্যাহত রেখেছে। তবে শর্তগুলো ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করে হামাসকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে।

আত্মসমর্পণের বিষয়ে হামাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমাদের পক্ষে আত্মসমর্পণ করা অসম্ভব।

তারা বলেন, আমাদের জনগণের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি। আমরা আত্মসমর্পণকে মেনে নেব না। আমরা শেষ বুলেট এবং শেষ সৈনিক পর্যন্ত লড়াই করবো, ঠিক যেমনটি করেছিলেন সিনওয়ার।

সিনওয়ারের হত্যাকাণ্ড কয়েক দশকের মধ্যে সংগঠনের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষতিগুলোর একটি। তার স্থানে অন্য কাউকেবসানোর চ্যালেঞ্জ থাকলেও ১৯৯০এর দশক থেকে হামাসের নেতৃত্ব হারানোর ইতিহাস রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি হামাসের সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং গাজার আন্দোলনের ভবিষ্যত গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে মনে করা হয়।

Related News