১৬ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেট বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এই আইনের অনুমোদন দিয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এটি অন্তত আগামী এক বছর পর অর্থাৎ ২০২৫ সালে কার্যকর করা হবে। মেটার মালিকানাধীন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকের বিরদ্ধে এ আইনে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। যে কোম্পানি এই আইন ভঙ্গ করবে তাদের অন্তত ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা করা হবে।
আগামী জানুয়ারি থেকে প্রাথমিকভাবে নতুন এই প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং এক বছরের মধ্যে এটি বাস্তবায়িত হবে।
তবে সমালোচকরা বলছেন এই নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। এছাড়া প্রাইভেসি এবং সামাজিক সংযোগের ওপর এটির প্রভাব কেমন হবে সেটিও স্পষ্ট নয়।
গত সপ্তাহে সংসদের নিম্নকক্ষে আইনটি উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ। ওই সময় তিনি বলেন, ‘এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা চাই তরুণ অস্ট্রেলিয়ানরা সত্যিকার অর্থে একটি শৈশব পাক। আমরা চাই বাবা-মায়েরা যেন শান্তি পান।’
এদিকে সমালোচকরা আরও বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ভিপিএন ব্যবহার বেড়ে যেতে পারে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার যে কেউ ভিপিএন ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সহজে প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া বয়স যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সরকার যেসব প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে সেগুলোও ঠিক মতো কাজ করবে কি না সেটিও নিশ্চিত নয়।
এছাড়া এই আইনে উল্লেখ করা হয়নি কোন কোন সামাজিক মাধ্যম নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। এই সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী নেবেন। এক্ষেত্রে ই-নিরাপত্তা কমিশনারের কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন তিনি।
তবে গেমিং এবং ম্যাসেজিং প্লাটফর্মগুলো নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। এছাড়া ইউটিউবের মতো যেসব সাইটে অ্যাকাউন্ট ছাড়াই প্রবেশ করা যায় সেগুলোও হয়ত নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।