ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা শহরের দু’টি স্কুল ও বাড়িঘরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে অন্তত ৫২ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে আরও ১৭০ জন।
নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় ৩৬ জনকে হত্যার একদিন পর ফিলিস্তিনের স্কুল ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ৫২ জনকে হত্যা করা হয়।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, শনিবার ভোরে সাদুল্লাহ পরিবারের চার সদস্যকে হত্যার পর গাজা শহরের উত্তর-পূর্বে একটি স্কুলে দু’জন এবং খান ইউনিসের দক্ষিণে একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া একজনকে হত্যা করেছে।
ওয়াফা নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা শহরের পশ্চিমে উত্তর আল-রিমাল পাড়ায় আল-মাজিদা ওয়াসিলা স্কুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় সাত জন নিহত হয়েছে। এছাড়া রাফাহ শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় ড্রোন হামলায় আরও পাঁচ নাগরিক আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৯৩০ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৫ হাজার জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।