'পানির আধার শুকিয়ে যাওয়া গাছগুলো সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে'

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-10-20 14:00:37

'পার্বত্য চট্টগ্রামের যেসব স্থানে সেগুন গাছ রোপনের কারণে পানির আধার শুকিয়ে গেছে সেসব জায়গা থেকে সেগুন গাছ সরিয়ে পানি ফেরত আসবে এমন গাছ লাগাতে হবে। ইতিমধ্যে এই কাজগুলো শুরু হয়েছে। আশা করি এগুলো একটা নীতিগত কাঠামো তৈরি করে দিবে। যাতে আমাদের পরবর্তীতে দায়িত্ব গ্রহণকারীদের সে আলোকে চলতে সাহায্য করে।'  

রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও পরিবেশ অধিদফতরে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এক সেমিনারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরির্বতন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জাতিসংঘের যেকোন আইন রাজনৈতিকভাবে সঠিক হয়, কিন্তু এর যেকোন আইন সকলের এক্সপেরিশন যেভাবে প্রতিফলিত হওয়া উচিত সেভাবে প্রতিফলিত করতে পারে না। যদি ইউএনএফসিসির ইতিহাস দেখেন, কিওটো প্রটোকল কার্যকর করা না করা দেখেন তাহলেই আমরা বুঝবো যে অর্থনীতিকেই আগে রাখা হয়েছে। যে অর্থনীতিকে আগে রাখা হয়েছে সেটা কার্বন নিঃসরণ অর্থনীতি। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে বিশ্বের কমিটমেন্ট আমি বলবো আগের জায়গা থেকে ভালো। তবে আদর্শিক জায়গায় গিয়ে পৌঁছায়নি।

প্রশ্ন তুলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কত টাকা হলে বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকি থেকে উত্তোরন পাবে? পাবে না। কারণ যে টাকার ঘোষণা এসেছে সেটা নোয়াখালী, ফেনী, শেরপুরে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আরও অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে। টাকা পয়সা নিয়ে আসলে বিশ্ব জয় করে চলে এসেছি এমন ভাবার কোন কারন নেই। যে পরিমাণ চ্যালেঞ্জ হাতে আছে তার তুলনায় এই টাকা পর্যাপ্ত না। ফেনী নোয়াখালীর সবাই বলেছেন এবার যে পরিমাণ বন্যা তারা দেখেছেন সে পরিমাণ বন্যা তারা কোনদিনও দেখেননি। জাতীয় পর্যায়ের বাজেটে এই ১০০ কোটি টাকা জলবায়ু ফান্ডে না দিয়ে আরও বেশি দিতে হবে।

আমি এই অধিদফতরে এসে দেখলাম এখানে সরকারি প্রকল্প ছাড়া বেসরকারি কোন প্রকল্প বা ফান্ড করা হচ্ছে না। সরকারি অফিস দুই দিকেই বিপদ আছে। বেসরকারি কাজ যখন আপনি করবেন তার ৬ মাস পর দেখবেন ওমুক মন্ত্রীর আত্মীয় বলে তিনি জলবায়ু প্রজেক্ট পেয়েছেন। তার আসলে জলবায়ু পরিবর্তনের কোন অভিজ্ঞতা নেই। এগুলোয় সমস্যা আছে, গাইড লাইনও করা হচ্ছে।

সত্যিকার অর্থে যদি আমরা ১ দশমিক ৫ এর কমিটমেন্ট, অ্যডাপটেশন ফান্ডে আমাদের যে প্রোপোজাল সেই পার্সেন্টেজের কমিটমেন্ট আনতে পারি এবং সত্যিকারে উন্নত দেশগুলো টাকার যোগান দেয় তাহলে আমরা এর থেকে পরিত্রাণ পাবো। কিন্তু জলবায়ু সমস্যা খুব সহসা কেটে যাবে এটা বলা যাচ্ছে না। সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমাদে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। 

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে একটা প্রশ্ন এসেছিলো, এগুলো মেইন স্ট্রিম আলোচনায় আসবে কিনা আমি জানি না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের জায়গা দেওয়ার বিষয়ে সবসময় আমাদের প্রশংসা করে। কিন্তু শুধু এই প্রশংসাতেতো আমাদের হচ্ছে না। আমাদেরতো তার সঙ্গে সঙ্গে যে পরিমাণ বন আমরা হারিয়েছি সেটা ফেরত আনার একটা বিষয় আছে। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশতো আসলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে সফল করেছে। কাজেই তাদের তো আমাদের দিকে আসতেই হবে।

Related News