বেসরকারি খাদ্য পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নেসলের গাড়ি থামিয়ে দিনে দুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গাড়িতে থাকা প্রায় ১২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। নিয়ে গেছে চেকের পাতা।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মোহাম্মাদীয়া হাউজিং লিমিটেড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ সড়ক হয়ে মোহাম্মাদীয়া হাউজিং লিমিটেডের ৩ নম্বর সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলো নেসলে কোম্পানির পণ্য পরিবহনকারী একটি গাড়ি। লিমিটেড ৩ নম্বর সড়কের কার্লভার্টের সামনে আসতেই চারটি মোটরসাইকেল গাড়িটির পথ আটকায়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীরা তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গাড়ির সামনের গ্লাসে আঘাত করেন। এতে গ্লাস চুরমার হয়ে যায় এবং চালক গাড়িটি থামাতে বাধ্য হয়।
গাড়িটির চালক মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'আমরা গাড়িতে তিনজন ছিলাম। আমি ও আমার সহকারী শরীফ পণ্য ডেলিভারি দিতে যাচ্ছিলাম। আমাদের সঙ্গে অফিসের হিসাব বিভাগের সাইফুল গাড়িতে করে শ্যামলী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ লিমিটেড ৩ নম্বরে কালভার্টের সামনে আসতে অস্ত্র হাতে কয়েকজন আমাদের নামতে বলে। গাড়ি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে গ্লাসে এলোমেলো কোপায়। আমরাও আঘাত পাইছি। গাড়িতে টাকার ব্যাগ ছিলো, চেক ছিলো, সব নিয়ে গেছে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, 'বাইক ছিলো মোট চারটা। এরমধ্যে এক বাইকে ছিলো চারজন, দুইটায় তিনজন। আরেকটায় দুইজন। সবাই হাতে রামদা, চাপাতি ছিলো। ঘটনাটা সবার সামনে ঘটছে, কেউ বাধা দেয়নি, কেউ এগিয়েও আসেনি। ওই সময় রাস্তায় এত লোক ছিলো, যদি সবাই এগিয়ে আসতো, ডাকাতরা ডাকাতির সুযোগ পেতো না, বরং ধরা পরতো।'
এদিকে স্থানীয় ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ডাকাতির পর জনসম্মুখেই পালিয়ে গেছেন ডাকাতরা। মোটরসাইকেল যোগে বেড়িবাঁধ সড়ক ধরে ঢাকা উদ্যান এলাকার দিকে যেতে দেখা যায় তাদের।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটিয়েছে ঢাকা উদ্যান ও সাত মসজিদ হাউজিং এলাকার কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, হাউজিং লিমিটেড ৩ নম্বরে নেসলে কোম্পানির একটি গাড়ি থেকে নগদ ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও কিছু চেকের পাতা ছিনতাই হয়েছে। ঘটনার পরপরই আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ভুক্তভোগীরা কোম্পানির লোকজন থানায় এসেছে তারা লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।